ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিষিদ্ধ! শুধু ইসলাম নয় হিন্দু ধর্মীয় বিধানও লঙ্ঘন!

ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিষিদ্ধ! শুধু ইসলাম নয় হিন্দু ধর্মীয় বিধানও লঙ্ঘন!

অন্ধবিশ্বাসী না হয়ে ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করুন
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

“ভারতে কর্ণাটকে হিজাব অপিহার্য নয়” রায়ে আজ যারা আনন্দে আত্মহারা! বোরখা-হিজাবের উপরে প্রতিবন্ধকতা লাগানোর জন্য আন্দোলন করছেন তাদের মুখে “জয় শ্রীরাম” শ্লোগান শোনা যায়। কিন্তু তারা রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতার কাহিনী ভুলে গেছেন। রাম, লক্ষণ, সীতা তিনজন এক সাথে একটা কুটিরের মধ্যেই চৌদ্দ বছর বনবাসে ছিলেন। সীতা অপহরণের পরে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে হনুমান কানের ঝুমকা পেলেন আর সেটা নিয়ে এসে লক্ষণকে জিজ্ঞেস করলেন – “দেখুন তো এই ঝুমকা সীতা মাতার তো না?”

তখন লক্ষণ হনুমান কে বলেছিলেন- “হনুমান, আমরা তিনজন একটা কুটিরের মধ্যে দীর্ঘ বছর আছি ঠিকই, কিন্তু আজ পর্যন্ত বৌদির মুখের দর্শন হয় নাই।”

আজ জয় শ্রীরামের শ্লোগান যারা দিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে চলেছেন তারা একটু ভেবে দেখুন, কুটিরের ভিতরে যদি সীতা মাতার ঘোমটার এমন অবস্থা ছিল, তবে তিনি যখন বাহিরে বেরোতেন তখন কেমন পোশাক পরিধান করে বেরোতেন।

আহ! রামচন্দ্র আজ আপনার ভক্তগণ আপনার নাম নিয়ে আপনার আর সীতার মধ্যেই যুদ্ধের অগ্নিশিখার প্রজ্জ্বলন করে দিল। আজ আপনার ভক্তগণ আপনার নাম ধরেই ভারতীয় সংস্কৃতির শবদেহ যাত্রা বের করেছেন।

বাল্মীকি রামায়ণে (6/111/61) উল্লেখ রয়েছে –

দৃষ্টভা ন খল্ভভিক্রুদ্ধো মামিহান ভগুষ্ঠিতাম্। নির্গতাঁ নগরদ্বারাত্ পদভ্যামেভাগতাঁ প্রভো।।

অর্থাৎ- “প্রভু! আজ আমার মুখে ঘোমটা নেই, আমি নগরদ্বার থেকে পায়ে হেঁটেই এসেছি। এই দশায় আমাকে দেখে আপনি কেন ক্রোধ করছেন না?”

ঋগবেদে উল্লেখ রয়েছে (৮/৪৩/১৯)-

“অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাঁ পাদকৌ হর। মা তে কশপ্লকৌ দৃশন্ত্স্ত্রী হি ব্রহ্মা বভুভিথ।।

অর্থাৎ – “নারী! তুমি নীচের দিকে দেখো, উপরের দিকে দেখো না। নিজের পদ যুগল এক সঙ্গে সাঁটিয়ে রাখো। বস্ত্র এমন পরিধান করো যাতে তোমার কটিদেশ থেকে নীচ পর্যন্ত কারোর দৃষ্টি না পড়ে।”

এর থেকে পরিষ্কার যে, স্ত্রী জাতির লজ্জাভাব এবং মুখে ঘোমটা সর্বদা ঢেকে রাখা উচিত।

বাল্মীকিরামায়ণে উল্লেখ রয়েছে (২/৩৩/৮) –

যা ন শক্যা পুরা দ্রষ্টুঁ ভূতৈরাকাশগৈরপি। তামদ্য সীতাঁ পশ্যতি রাজমার্গগতা জনাঃ।।

অর্থাৎ – “আকাশে বিচরণকারী প্রাণীরাও যাকে প্রথমে দেখতে পেতো না, সেই সীতাকে এই সময় পথে দন্ডায়মাণ অবস্থায় মানুষেরা দেখছেন।।”

আহ! আজ যদি বোরখা-হিজাবের বিরোধীতাকারীরা অন্ধবিশ্বাসী না হয়ে ধার্মিক হতেন তবে না তারা নিজ ধর্মের শিক্ষা বিরুদ্ধে যেতেন, না হিজাব-বোরখার বিরোধীতা করতেন।

কিন্তু আফসোস আজ রাজনৈতিক পদাধিকারীরা শুধুমাত্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যুব সমাজকে সুশিক্ষার জগত থেকে দূরে – বহুদূরে কুশিক্ষার অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত করে দিচ্ছেন।।

হিন্দু ধর্ম – Faith and Theology (faith-and-theology.com)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button