New Contingency argument for God

ফিলোসোফি

ভূমিকা:

স্রষ্টা স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণিত সত্য। আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের এই মহাবিশ্ব সম্পুর্ন বাস্তবতার ভিত্তি হচ্ছে একজন অসীম, সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, অবস্তুগত একজন স্রষ্টা। মানবকুল জন্ম থেকেই সহজাত ভাবেই এই অনন্ত অসীম সত্তার ধারণা বুকে লালন করে থাকে, সর্বোচ্চ সত্যকে মানবজাতি সহজাত ভেবেই জেনে থাকে, সে জ্ঞাত থাকে তার এবং তার জগতের সৃষ্টির একজন স্রষ্টা রয়েছেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় মন্দের আলোড়নে দুর্বল হয়ে এবং নিজের নাফস এর কাছে হেরে গিয়ে নিজের অন্ধত্ব, অহংবোধের কাছে মাথানত করে কখনো কখনো এই মানবজাতি তার প্রতিপালক এবং তার মহান সত্তাকে ( যার কুদরতি শক্তিতে আমাদের প্রাণ) অস্বীকার করে, অবজ্ঞা করে। স্রষ্টা যে সত্য তা প্রমাণের কোনো কিছু নয়, সত্য বিশ্বাস কে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই, যদি আল্লাহ তায়ালা সত্য না হতো তবে প্রতিটি মানবশিশু জন্মের প্রাক্কালে তার বিশ্বাস অন্তরে গেথে নিয়ে জন্মাতো না, আল্লাহ তায়ালা সত্য বলেই প্রত্যেক শিশু ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে। স্রষ্টা স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণিত কিংবা তাঁর অস্তিত্ব মৌলিক বিশ্বাস এর মানে এই নয় সবাইকেই এটা বিশ্বাস করতে হবে বা মানতে হবে। বরং কোনো গোষ্ঠীর ঐক্যমত এটা প্রমাণে যথেষ্ট। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় পৃথিবীতে আস্তিকের সংখ্যা সর্বদাই নাস্তিকের তুলনায় বেশি ছিলো এখনো আছে। যদি বাই বর্ন মানুষ ফিতরাহ নিয়ে না জন্মাতো তবে এটা অসম্ভব ছিলো। আল্লাহর অস্তিত্ব মানুষের সহজাত বিশ্বাস হওয়ায় জন্ম থেকেই সকলে আস্তিক এবং যার ফলে ঐতিহাসিকভাবে সর্বদাই বিশ্বাসীদের সংখ্যা বেশি ছিলো আছে এবং থাকবে ইন শা আল্লাহ। মজার বিষয় হলো বিশ্বাসীদের মধ্যেই কেবল সহজাত বিশ্বাস রয়েছে এমন না যেহেতু বিশ্বাসটা সহজাত সেক্ষেত্রে সবার মধ্যেই তা বিদ্যমান, যেমন ওয়েস্টার্ন কান্ট্রির সেক্যুলার এডাল্টরাও (cognitively) সহজাত ভাবে প্রাকৃতিক জগৎ সম্পর্কে নকশাতাত্ত্বিক চিন্তাধারা লালন করে। (১) মানবগোষ্ঠীর শুরুতে তারা জন্মগতভাবে আল্লাহর অস্তিত্ব কে ফাউন্ডেশন হিসেবে জেনে থাকে বলেই শুরুতে এবং এখন পর্যন্ত বিশ্বাসীদের সংখ্যা বেশি। রাসুল (ﷺ) বলেন, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তানই ইসলামী ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতঃপর তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক বানিয়ে ফেলে। ( সহিহ বুখারী ১৩৫৮)

 

বিষয়টা এমন নয় যে আল্লাহর অস্তিত্বের জন্য কোনো ভালো যুক্তি আমাদের কাছে নেই, এক্সট্রিম এবং খুবই হাইলি একাডেমিক যুক্তি এবং নানান রিজনিং রয়েছে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য। তবে ফিতরাহ হিউম্যান ন্যাচারের সবচেয়ে সাধারণ এবং ফাউন্ডেশনাল একটি অংশ যা থেকে বোঝা যায় আল্লাহ তায়াল স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণিত, তাঁর অস্তিত্বের জন্য কোন প্রমাণের প্রয়োজন নেই।

 

আমাদের চারপাশের প্রকৃতি এবং জগতের সবকিছুই অস্তিত্বে রয়েছে, এই অস্তিত্ব/ Existence অস্তিত্বে না থাকাটা কি অসম্ভব? মোটেও না, অসম্ভব নয়, এসকল কিছু নাও থাকতে পারতো কিংবা অন্যভাবেও থাকতে পারতো। সুতরাং এসকল অস্তিত্বই সম্ভাব্য অস্তিত্ব বা Mumkin Al’ Ujud. এই সম্ভাব্য অস্তিত্ব দ্বারা একে ব্যাখ্যা করা কিংবা এর অস্তিত্বের সারনির্যাস খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, তাই এমন কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকা আবশ্যকীয় যা এই সম্ভাব্য অস্তিত্ব কে অস্তিত্ব দান করেছে এবং আমাদের সম্পূর্ণ জগতের ভিত্তি হিসেবে আমাদের এই জগত কে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছে, যাকে বলা যায় অবশ্যাম্ভাবী অস্তিত্ব বা necessary existance. ( Wajib Al Wujud) আমরা আজ এ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুক। আমিন।

মোডাল লজিক, কন্টিনজেন্ট ( সম্ভাব্য) এবং নেসেসারি (অনিবার্য) অস্তিত্ব

 

মোডাল লজিক আসলে কি? 

মোডাল লজিক মূলত প্রপোজিশনাল লজিকের একটা অংশ। প্রপোজিশনাল লজিক কে sentential logic এবং statement লজিক ও বলা হয়। প্রপোজিশনাল লজিকে মূলত কোনো স্টেটমেন্ট কতটুকু ভ্যালিড এবং সাউন্ড লজিকের এপ্লিকেশনের মাধ্যমে তা নির্ণয় করার চেষ্টা করা হয়। মোডাল লজিকে মূলত প্রপোজিশনাল লজিকের সাথে নতুন দুটি অপারেটর যুক্ত হয় একটি হচ্ছে □ (“box”) এবং অন্যটি হলো ◇ (“diamond”)।

= propositional logic plus □ and ◇

এখানে,

□A =df ~ ◇~A [ not diamond not A]

◇A =df ~ □~A [ not box not A]

মোডালে নানা ধরনের লজিক বিদ্যমান। যেমন epistemic logic এটি মূলত জ্ঞানতত্ব্ব নিয়ে কাজ করে। doxatic logic এটি বিশ্বাস নিয়ে যুক্তিগত কাজ করে এবং deontic logic মূলত মোরাল অবলিগেশন নিয়ে কাজ করে। এছাড়াও temporal লজিকে সময় নিয়ে কাজ করা হয়। মোডাল লজিকে “Necessity এবং possibility নিয়ে আলোচনা করা হয়। মোডাল লজিকে যখন ‘possibility এবং necessity নিয়ে কথা বলা হয় তখন এখানে probability নিয়ে কোনো কথা বলা হয়না। মোডাল লজিকে এটা ৪০% সত্য বা ৩০% মিথ্যে এমন কিছু নেই এখানে হয় হ্যাঁ অথবা না। অর্থাৎ ব্রুট নেসেসিটি এবং ব্রুট পসিবিলিটি।

 

□p এখানে □ টি নেসেসিটি কে নির্দেশ করে। necessarily P যেমন: □ (1+1=2)

আবার, ◇p এখানে ◇টি পসিবিলিটি কে নির্দেশ করে। possibly p যেমন: ◇ ( শান্ত কালো টিশার্ট পড়েনি)

 

~ ◇(p<-> ~p)

□(p→q)→( □p→ □q)

□◇□◇p & ~ □ □q

◇(~p ~q)

যদি p না হয় তবে সম্ভাব্যভাবে p হবে না। যদি অনিবার্যভাবে p এবং q হয় তবে অনিবার্যভাবে p এবং অনিবার্যভাবে q হবে। আবার অনিবার্য, সম্ভাব্য, অনিবার্য, সম্ভাব্যভাবে p হয় এবং অনিবার্য, অনিবার্যভাবে q নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ফর্মাল সিস্টেমে এভাবেই এই অপারেটর গুলোকে ব্যবহার করা হয়।

 

নিম্নে ৪ টি স্টেটমেন্ট কে সিম্বোলাইজড করে দেখানো হলো:

 

Necessity: □p/ ~ ◇~p p যদি অনিবার্যভাবে সত্য হয় তবে এটা অসম্ভব যে p সম্ভাব্যভাবে মিথ্যে হবে। যেমন: 1+1=2 এটা সত্য, এটা অসম্ভব যে 1+1=2 এটা মিথ্যে হবে। সুতরাং 1+1=2 এখানে এই রেজাল্ট টা নেসেসারি।

 

Possibility: ◇p / ~ □~p যদি p অনিবার্যভাবে সত্য নাহয় তবে এটা সম্ভব যে সেটা সত্য হবে না। যেমন: গোলাপি রঙের হাতি। এখন গোলাপি হাতি এটা সত্য হতেই হবে এমন না সুতরাং এটা সত্য নাও হতে পারে।

 

Impossibility: ~◇p/ □~p যদি p সম্ভব না হয় অর্থাৎ এর কোনো সম্ভাবনা না থাকে তবে নেসেসারিলি এটা p নয়। যেমন: ত্রিভুজের চারটি বাহু সম্ভব না সেক্ষেত্রে এটা নেসেসারি যে ত্রিভুজের চারটি বাহু থাকবেনা নেসেসারিল এর বাহু তিনটাই হবে কারণ তিনবাহুর জন্যই এটি সংজ্ঞানুসারে ত্রিভুজ।

 

Contingency: ◇p & ◇~p অর্থাৎ সম্ভাব্যভাবে এটি p হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন গোলাপি রঙের হাতি, এটি থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। দুটোই সম্ভব আবার দুটোর কোনোটিই সম্ভব নাও হতে পারে।

 

Possible world: পসিবল ওয়ার্ল্ড বা সম্ভাব্য জগৎ মূলত একটি হাইপোথেটিক্যাল সিনারিও বা অল্টারনেটিভ পসিবিলিটিজ। অর্থাৎ এটা হতেও পারে It could be. অর্থাৎ এখন যা হচ্ছে ঠিক তার বিপরীত টাও হতে পারতো। ল অফ লজিক কে ভায়োলেট করে না এ এমন সবকিছু নিয়েই পসিবল ওয়ার্ল্ড চিন্তা করা হয়। যেমন: আমি অবিবাহিত কিন্তু অন্য কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ড থাকতেই পারে যেখানে আমি ম্যারিড বা বিবাহিত। যেহেতু এটি ল অফ লজিককে ভায়োলেট করছেনা। তবে ম্যারিড ব্যাচেলর কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডেই সম্ভব নয় কারণ ব্যাচেলর মানেই অবিবাহিত, ম্যারিড ব্যাচেলর মানে একসাথে বিবাহিত এবং অবিবাহিত যা ল অফ নন কন্ট্রাডিকশনকে ভায়োলেট করে তাই কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডেই ম্যারিড ব্যাচেলর থাকা সম্ভব নয়। এখানে,

◇p এখানে ◇ মানে হচ্ছে In some possible world p exists. □p এখানে □ মানে হচ্ছে In all possible worlds p exists. এছাড়াও ‘~◇p’ মানে হচ্ছে এমন কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ড নেই যেখানে p থাকবে। অর্থ □~p যদি p সকল পসিবল ওয়ার্ল্ডে অস্তিত্ব না থাকে তবে p কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে অস্তিত্বে থাকবে না। । আবার ◇~p & ~ □p যদি p একটি কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে অস্তিত্বে না থাকে তবে p সকল পসিবল ওয়ার্ল্ডে অস্তিত্বে থাকতে পারবেনা।

Types of possibilities:

1.Logical possibility: ল অফ লজিক দ্বারা নির্ধারিত সম্ভব্য ঘটনা। লজিক্যাল পসিবিলিটিজ এর ক্ষেত্রে কোনো কন্ট্রাডিকশন থাকতে পারবেনা। 2+2=4 এটা সবক্ষেত্রেই সত্য। প্রত্যেক পসিবল ওয়ার্ল্ড ই লজিক্যালি পসিবল। এমন কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ড নেই যেখানে 2+2= 4 বাদে অন্ত কিছু হবে। তাই 2+2=4 প্রত্যেক পসিবল ওয়ার্ল্ডেই সত্য। আবার একটি চতুর্ভুজের চারটি বাহু আছে, চারবাহুর জন্যই সেটি চতুর্ভুজ, এখন কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে ৬ বাহু যুক্ত চতুর্ভুজ সম্ভব নয়। অর্থাৎ কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে ৬ বাহু বিশিষ্ট ত্রিভুজের অস্তিত্ব সম্ভব নয় যেহেতু সংজ্ঞানুযায়ী ত্রিভুজের বাহু ৩ টা। লজিক্যাল পসিবিলিটিজ এর মূল কথা হলো যা কোনো কিছু ল অফ লজিককে ভায়োলেট না করবে তা সম্ভব। ল অফ লজিকে মূলত তিনটা ল রয়েছে। যেগুলো রিয়েলিটির সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না এবং কন্ট্রাডিক্টরি কোনো কিছুতে আদোতে অস্তিত্বে থাকতে পারে না।

 

1.Law Of Identity

যুক্তিবিদ্যায় law of Identity বলে যে প্রতিটি বিষয় নিজের সাথে অভিন্ন। এটি ঐতিহাসিক three law of thought এর মধ্যে প্রথমটি। এর সাথে রয়েছে Law of Noncontradiction এবং law of excluded Middle.

যখন আপনি এটিকে (law of identity যুক্তিতে প্রয়োগ করেন, তখন আইনটি মূলত বোঝায় যে সবকিছু নিজেই, এবং এটি অন্য কিছু হতে পারে না। তুষার মেঘ হতে পারে না, এবং জল একটি মেরু হতে পারে না। প্রতিটি জিনিসই নির্দিষ্ট কিছু যার একটি নির্দিষ্ট পরিচয় রয়েছে। । Law বা আইনের প্রাচীনতম নথিপত্র হচ্ছে প্লেটোর সংলাপ(Dialogue) Theaetetus. যেখানে সক্রেটিস প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন যে আমরা যাকে “শব্দ” এবং “রঙ” বলি, দুটি ভিন্ন শ্রেণীর জিনিস:

 

সক্রেটিস: ধ্বনি এবং রঙের ক্ষেত্রে, প্রথমত, আপনি এই দুটি সম্পর্কে কি মনে করেন: তারা কি বিদ্যমান?

থিয়েটাস: হ্যাঁ।

সক্রেটিস: তাহলে আপনি কি মনে করেন যে একেকটি একে অপরের থেকে আলাদা, এবং প্রতিটি নিজের থেকে অভিন্ন?

থিয়েটাস: অবশ্যই।

সক্রেটিস: এবং উভয় দুই এবং তাদের প্রত্যেকে একজন?

থিয়েটাস: হ্যাঁ, সেটাও। [1]Aristotle, Prior Analytics, Book II, Part 22, 68a

[2]https://projecteuclid.org/journals/notre-dame-journal-of-formal-logic/volume-15/issue-2/On-a-passage-of-Aristotle/10.1305/ndjfl/1093891315.full [3]http://classics.mit.edu/Aristotle/prior.html

 

অ্যারিস্টটল (law of noncontradiction) অ-দ্বন্দ্বের আইনকে সবচেয়ে মৌলিক আইন বলে বিশ্বাস করতেন। থমাস অ্যাকুইনাস এবং ডানস স্কটাস উভয়ই এই বিষয়ে অ্যারিস্টটলকে অনুসরণ করেন। স্কটাসের স্প্যানিশ শিষ্য অ্যান্টোনিয়াস আন্দ্রেয়াস (মৃত্যু 1320), যুক্তি দেন যে প্রথম যে স্থানটি আইনের অন্তর্গত হওয়া উচিত তা হচ্ছে “প্রত্যেক প্রাণীই একটি সত্তা” কিন্তু প্রয়াত স্কলাস্টিক লেখক ফ্রান্সিসকো সুয়ারেজ অসম্মত ছিলেন, এছাড়াও অ্যারিস্টটলকে অনুসরণ করতে পছন্দ করতেন।

 

একই নীতির আরেকটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে কুসার নিকোলাসের লেখায় Nicholas of Cusa (1431-1464) যেখানে তিনি বলেছেন:

… বেশ কয়েকটি জিনিস হুবহু একই হতে পারে না, কারণ সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি জিনিস থাকবে না, তবে একই জিনিস নিজেই। তাই সমস্ত জিনিস একে অপরের সাথে একমত এবং ভিন্ন। [4] De Venatione Sapientiae, 23.

 

গটফ্রিড উইলহেলম লাইবনিজ দাবি করেছিলেন যে law of identity যাকে তিনি “সবকিছু যা সে জিনিসটা সেটাই ” হিসাবে প্রকাশ করেছেন তা হল যুক্তির প্রথম আদিম সত্য যা ইতিবাচক, এবং law of Noncontradiction হল প্রথম নেতিবাচক সত্য। তিনি যুক্তি দেন যে৷ একটি স্টেটমেন্ট স্টেটমেন্ট না অন্য কিছু এর আগে সেই বিবৃতিটি একটা স্টেটমেন্ট”। উইলহেম ওয়ান্ড্ট গটফ্রিড লাইবনিজকে প্রতীকী সূত্রে কৃতিত্ব দেন, “A হল A”। লাইবনিজের আইন একটি অনুরূপ নীতি, [5]Curley, E. M. (October 1971). “Did Leibniz State “Leibniz’Law”?”. The Philosophical Review. 8 (4): 497–501.https://philpapers.org/rec/CURDLS যে দুটি বস্তুর সমস্ত একই বৈশিষ্ট্য থাকলে, তারা আসলে এক এবং একই বস্তু। John Locke তার (Essay Concerning Human Understanding IV. vii. iv. (“Of Maxims”) বলেন ”

 

“যখনই আমাদের মন মনোযোগ সহকারে কোনো প্রস্তাব বিবেচনা করে, যাতে শর্তাবলী দ্বারা নির্দেশিত দুটি ধারণা উপলব্ধি করা যায় এবং একটিকে একই বা ভিন্ন বলে নিশ্চিত বা অস্বীকার করা হয়; এটি বর্তমান এবং অবিশ্বাস্যভাবে এই জাতীয় প্রস্তাবের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত; যেমন, একটি স্টেটমেন্ট “যা কিছু আছে, তাই” (“whatsoever is, is) অর্থাৎ যে জিনিস টা আছে সেটা সেই জিনিস ছাড়া অন্য কিছু না। এই ধারণাটি নিশ্চিত করা যায়। অথবা আরো একটি নির্দিষ্ট ধারণা নিজেই নিশ্চিত করা হবে, যেমন “একজন মানুষ একজন মানুষ”; অথবা, “যা সাদা তাই সাদা”

 

বস্তুবাদী জ্ঞানতত্ত্বে যুক্তিবিদ্যা যুক্তিবিদ্যার তিনটি সূত্রের উপর ভিত্তি করে গঠিত। তন্মধ্যে law of Identity অন্যতম [6]https://www.jstor.org/stable/j.ctt9qh7ww?turn_away=true

 

1.1 Law of non contradiction

ফিলোসোফি, মেটাফিজিক্স এবং অন্টোলজিতে Law of non-contradiction বেশ দৃঢ় একটি অবস্থানে রয়েছে। [7]https://plato.stanford.edu/entries/aristotle-noncontradiction/

 

Principle of noncontradiction (PNC) বলতে বোঝায় পারস্পরিক দ্বন্দ্বমূলক কোনো কিছু থাকতে পারে না/ নেই। উদাহরণস্বরুপ,

P → true,

P → False

এখানে P & P একই সাথে সত্য(T) এবং একই সাথে মিথ্যা( F) এ অবস্থান করছে। দুটোই একই সস্তা মিথ্যা এবং সত্য যা অসম্ভব। সহজ কথায়, পারস্পরিক দ্বন্দ্বমূলক কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই, থাকা সম্ভব ও নয় এটাই হচ্ছে Principle of non-contradiction.

 

এরিস্টটলিয়ান মেটাফিজিক্সে, Principle of non-contradiction কে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।

1.Ontological : “এটা অসম্ভব যে একই জিনিস একই সময়ে এবং একই বিষয়ে একই জিনিসের অন্তর্গত এবং অন্তর্গত নয়।” [8]8.Łukasiewicz (1971) p.487

2.মনস্তাত্ত্বিক : “কেউ বিশ্বাস করতে পারে না যে একই জিনিস (একই সময়ে) হতে পারে এবং হতে পারে না।” [9]Whitaker, CWA Aristotle’s De Interpretatione: Contradiction and Dialectic page 184

3. যৌক্তিক : “সমস্ত মৌলিক নীতিগুলির মধ্যে সবচেয়ে নিশ্চিত (certain) নীতি এটাই যে পরস্পর বিরোধী প্রস্তাবগুলি একই সাথে সত্য নয়।” [10]Rijk, Lambertus Marie de (1972). Peter of Spain (Petrus Hispanus Portugalensis): Tractatus: Called afterwards Summulae logicales. First critical ed. From the manuscripts. ISBN 9789023209751

 

1.2 Law of non-contradiction is undeniable:

Principle of non-contradiction কে অস্বীকার করা অসম্ভব। কেননা স্বতসিদ্ধ ( Axiom) যুক্তি হিসেবে এটি সত্য। কোনো প্রমাণ বা অপ্রমাণ /অপ্রামান্য কোনো কিছু থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেও এটি ব্যবহার করতে হবে। থট এক্সপেরিমেন্টঃ

 

মাহমুদ দাবি করল, Principle of noncontradiction ( PNC) যুক্তিতে আমি বিশ্বাসী নই। অবশ্যই সে বিশ্বাসী, সে আবার বলল না আমি বিশ্বাসী নই, সে অবশ্যই PNC এ বিশ্বাসী কেননা “বিশ্বাসী”এবং” বিশ্বাসী নয় ” দুটো একত্রে থাকতে পারে না দুটোই কন্ট্রাডিকশন। সে Law of non contradiction কে ব্যবহার করছে এখানে বিশ্বাস করে না বলে। কারণ এটা স্বতসিদ্ধ ( Axiom) যে দুটো জিনিস একই সাথে একত্রে একই সময়ে থাকতে পারে না। তাই অবশ্যই অবশ্যই Principle of non-contradiction সত্য। আপনি যেমন চোখ ব্যতীত কোন দেখতে পাবেন না, তেমনই Principle of noncontradiction ব্যতীত কোন কিছু চিন্তা করতে পারবেন না। [11]https://www.jstor.org/stable/40231476?origin=JSTOR-pdf

 

যারা Principle of non-contradiction কে অবিশ্বাস করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইবনে সিনার একটি মুখরোচক বাণী রয়েছে”,

 

❝ He must be subjected to the conflagration of fire, since ‘fire’ and ‘not fire’ are one. Pain must be inflicted on him through beating, since ‘pain’ and ‘no pain’ are one. And he must be denied food and drink, since eating and drinking and the abstention from both are one [and the same]. ❞

 

❝তাকে অবশ্যই আগুনের প্রজ্বলনে জ্বলতে হবে, যেহেতু ‘আগুন’ এবং ‘আগুন নয়’ এক। প্রহারের মাধ্যমে তাকে ব্যথা দিতে হবে, যেহেতু ‘ব্যথা’ এবং ‘না’ ব্যথা’ এক। এবং তাকে অবশ্যই খাদ্য ও পানীয় থেকে বঞ্চিত করতে হবে, যেহেতু খাওয়া এবং পান করা এবং উভয় থেকে বিরত থাকা এক [এবং একই]।” ❞  [12]Avicenna, Metaphysics, I.8 53.13–15 (sect. 12 [p. 43] in ed. Michael Marmura); commenting on Aristotle, Topics I.11.105a4–5. The editorial addition (brackets) is present in Marmura’s … Continue reading

Law of excluded middle

যুক্তিবিদ্যায় Law of Excluded Middle অনুযায়ী, প্রতিটি স্টেটমেন্ট বা প্রপোজালের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি প্রযোজ্য তা হচ্ছে, হয় সেই স্টেটমেন্ট/ প্রপোজালটি হয় সত্য নাহয় মিথ্যা। এটি law of Logic এর তিনটি আইনের মধ্যে অন্যতম একটি। [13]Laws of thought”. The Cambridge Dictionary of Philosophy. Robert Audi, Editor, Cambridge: Cambridge UP. p. 489.https://www.emerald.com/insight/content/doi/10.1108/RR-12-2015-0291/full/html

 

সর্বপ্রথম পরিচিত সূত্রের মধ্যে এরিষ্টটলের Law of noncontradiction টি পর্যালোচনা কর হয় On Interpretation [14] এ যেখানে তিনি পরস্পরবিরোধী দুটো স্টেটমেন্ট এর ক্ষেত্রে বলেন, পরস্পর বিরোধী দুটো স্টেটমেন্ট এর মধ্যে একটি অবশ্যই সত্য এবং অন্যটি মিথ্যা। এছাড়াও তিনি তার Metaphysics বইতে [14]Aristotle’s Metaphysics. Translated by Sachs, Joe (2nd ed.). Santa Fe, N.M.: Green Lion Press. 2002. এটিকে একটি নীতি ( Principle) হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা কিংবা অস্বীকার করা আবশ্যক। এবং এটি অসম্ভব যে পরস্পর বিরোধী দুটো স্টেটমেন্ট এর ক্ষেত্রে অন্য কিছু থাকা উচিত।

 

অ্যারিস্টটল লিখেছেন যে অস্পষ্টতা অস্পষ্ট নাম ব্যবহার থেকে উদ্ভূত হতে পারে, তিনি তার মেটাফিজিক্স বইতে আরও বলেন,

 

“তাহলে এটা অসম্ভব যে, “মানুষ হওয়া” এর অর্থ সঠিকভাবে “মানুষ না হওয়া” হওয়া উচিত, যদি “মানুষ” শুধুমাত্র একটি বিষয় সম্পর্কে কিছু বোঝায় না কিন্তু একটি তাৎপর্যও রাখে। … এবং একই জিনিস হওয়া এবং না হওয়া সম্ভব হবে না, একটি অস্পষ্টতা ছাড়া, “। (Metaphysics 4.4, W.D. Ross (trans.), GBWW 8, 525–526).

 

অর্থাৎ মানুষ এবং মানুষ নয় এর মধ্যে যেকোনো একটা স্টেটমেন্ট সত্য অথবা মিথ্যে হতে পারে। এর বাহিরে কিছুই হতে পারে না।

 

অ্যারিস্টটলের দাবী যে “এটি একই জিনিস হওয়া সম্ভব হবে না এবং না হওয়াও সম্ভব হবে না”, যা প্রস্তাবনামূলক যুক্তিতে লেখা হবে ¬( P ∧ ¬ P )

অ্যারিস্টটল আরও লিখেছেন, “যেহেতু এটা অসম্ভব যে একই সময়ে দ্বন্দ্বগুলি একই জিনিসের সত্য হওয়া উচিত, স্পষ্টতই বিপরীতগুলিও একই সময়ে একই জিনিসের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে না” (বুক IV, CH 6, পৃ. 531)। তারপরে তিনি প্রস্তাব করেন যে “বিরোধের মধ্যে একটি ইন্টারমিডিয়েট স্থান হতে পারে না। কোনো কিছু হয় সত্যি বা মিথ্যেই হবে নয়তো অন্য কিছু না।

লাইবনিজ বলেন ” প্রতিটি রায় হয় সত্য হবে অথবা মিথ্যা এর মধ্যবর্তী কোনো কিছু নয়।” [15]This is Leibniz’s very simple formulation (see Nouveaux Essais, IV,2)” (ibid p 421)

https://www.perseus.tufts.edu/hopper/morph?l=qeo%2Ffil-os&la=greek&can=qeo%2Ffil-os0

উদাহরণস্বরুপ এখন বৃষ্টি হচ্ছে, যদি এ বিষয় টা সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই বৃষ্টি হচ্ছে, আবার যদি এই বিষয় টা মিথ্যে হয় তবে বৃষ্টি হচ্ছে না। কিন্তু এটা কখনোই সম্ভব না যে একই সাথে বৃষ্টি হচ্ছে আবার হচ্ছে না। তাই একটি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে হয় তা সত্যি নাহয় মিথ্যা। মধ্যবর্তী কোনো কিছু নয়।

 

2. Nomological Possibility: নোমোলজিক্যাল পসিবলিটিজ বা সাইন্টিফিক পসিবিলিটিজ বলতে বোঝায় কিছু নির্দিষ্ট ল আমাদের প্রকৃতিতে ফিক্সড, সেগুলোকে ভায়োলেট করা যায়না। যেমন আমাদের কনক্রিট ওয়ার্ল্ডে আলোর গতি কন্সট্যান্ট। কনক্রিট ওয়ার্ল্ডে আপনি এটাকে ব্রেক করতে পারবেন না। আলোর গতি ব্রেক করাটা নমোলজিক্যালি পসিবল না হলেও এটি লজিক্যালি ইম্পসিবল না। অর্থাৎ আলোর গতি ব্রেক করা কিংবা ফিজিক্সের কোনো ল কে পরিবর্তন করা ল অফ লজিক কে ভায়োলেট করেনা সেক্ষেত্রে কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ড থাকতেই পারে যেখানে ল অফ ন্যাচার অন্যরকমভাবে সাজানো যাবে এবং আলোর গতিকেও ব্রেক করা যাবে।

Principle of sufficient reason (PSR)

 

এরিস্টটল তার বই পোস্টেরিয়র অ্যানালিটিক্স -এ , সঠিক জ্ঞান লাভের উপর নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছেন: “আমরা মনে করি আমরা তখনই কোন জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান পাই যখন আমরা তার কারণটি উপলব্ধি করি ” [16]Aristotle, Physics 194 b17–20; see also Posterior Analytics

71 b9–11; 94 a20
সেই সঠিক জ্ঞান হল কারণের জ্ঞান,৷পদার্থবিদ্যায় বারবার বলা হয়েছে : আমরা মনে করি যে কোনো জিনিস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান নেই যতক্ষণ না আমরা তার কারণ বুঝতে পারি। [17]F]or a full range of cases, an explanation which fails to invoke all four causes is no explanation at all.”—Falcon, Andrea. [2006] 2019 যেহেতু অ্যারিস্টটল স্পষ্টতই “কেন?” প্রশ্নের উত্তরের অনুসন্ধান হিসাবে একটি কার্যকারণ এর ধারণা করেছেন, তাই একটি কারণকে একটি নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাখ্যা হিসাবে বিবেচনা করা কার্যকর হতে পারে। সুতরাং আমরা বলতে পারি A cause itself an explanation.

 

ধরুন আপনি মার্কেটে গেলেন সবজি কিনতে। আপনি সেলসম্যান কে জিজ্ঞেস করলেন ” শশা কত কেজি? সে উত্তর এ বললো “একদাম একশ’। আগের তুলনায় যদিও শশার দাম বর্তমানে অনেক বেশি, কিছুটা বেশি দাম। আপনি কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে আবার জিজ্ঞেস করলেন ‘ টমেটো কত কেজি? ‘ টমেটো এবার দাম অনেক, তবে আপনার জন্য একশ’ চল্লিশ রাখবো একদাম’। আপনি জিনিস গুলো কিনে নিলেন। এরপর আরও দুজন কাস্টমার আসলো একই সবজি দোকানে। তারা জিজ্ঞেস করলো টমেটো কত কেজি?সেলসম্যান উত্তরে বললো, ‘ একশ বিশ টাকা রাখা যাবে। আপনি কিছুটা অবাক হয়ে ফিরে তাকালেন এবং দোকানে এসে কেন এই দামের অমিল তা জানতে চাইলেন অতঃপর আপনি দোকানে সবজি ফেরত রেখে টাকা নিয়ে ফেরত চলে আসলেন। ( আজ রাতের খাবার মনে হয় রান্না হবেনা যাইহোক) তো আপনার সাথে এই শ্রেণি বৈষম্যের কারণ হিসেবে অনেক কিছুই ভাবতে পারেন। যেমন হতে পারে সেলসম্যান কোনো মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা চালাচ্ছেন অথবা বাকি দুজন সেলসম্যান এর পূর্বপরিচিত ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে যাইহোক না কেন অবশ্যই একটি সাধারণ ঘটনার একটি কারণ আপনি খুজবেন। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি

 

” প্রতিটি সত্য F এর জন্য, F এর ক্ষেত্রে একটি যথেষ্ট কারণ থাকতে হবে।”

 

অর্থাৎ প্রত্যেকটা জিনিসের পেছনে একটি কারণ বা ব্যাখ্যা থাকবে। ব্যাখ্যাটি হবে তার নিজস্ব প্রকৃতির ব্যাখ্যা কিংবা বাহ্যিক কোনো কিছুর ব্যাখ্যা। যেমন ধরুন, আজ আপনার বিয়ে , শহরের সবচেয়ে সুন্দরী, গুণবতী এবং রিলিজিয়াস মেয়ের সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বাসায় হাজারো মেহমান, সবাই খুশী, আপনি তো খুশির চোটে জ্ঞান হারানোর অবস্থা, সব কাজ শেষে অবশেষে আপনার বিয়ে সম্পন্ন হলো, নিদ্রাহীন রজনী অতিবাহিত করার জন্য বিছানায় গেলেন, তৎক্ষনাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল এবং আপনার ঘুম ভেঙ্গে গেল, চোখ কাচুমাচু করতে করতে উঠে দেখলেন, রাত ৩ টা বাজে, যা দেখেছেন সবই ছিলো স্বপ্ন, তো এই স্বপ্ন দেখার পেছনে নিশ্চয়ই একটা কারণ থাকবে। হতে পারে আপনি আপনার বিয়ে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত বা অন্যান্য নানা কারণ থাকতে পারে।

 

সবকিছুর একটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন এটা কি ফ্যালাসি অফ কম্পোজিশন নয়? অনেক সময় কোন একটি জিনিস বা বিষয়ের কোন একটি অংশের জন্য কোন তথ্য সত্য হলেও, সামগ্রিক বিষয়টির জন্য সেটি সত্য নাও হতে পারে। Aristotle তাঁর Sophistical Refutations গ্রন্থে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন ধরুন, পানি আমাদের ভিজিয়ে দেয়, সেটি আমরা পান করি। পানি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনও আমাদের ভিজিয়ে দিতে পারে বা হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনও আমরা পান করতে পারবো। বরঞ্চ, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা যেই পদার্থটি গঠিত হয়, সেটি পানি হয়ে থাকলে শুধুমাত্র তখনই সেটি আমাদের ভিজিয়ে দিতে সক্ষম হবে এবং তখনই সেটি পান যোগ্য হবে। মহাবিশ্বের ভেতর সবকিছুর কারণ আছে তাই বলে সম্পুর্ন মহাবিশ্বের কারণ থাকবে এ কেমন কথা? এটি বোঝার জন্য আমরা একটি ঘটনা কল্পনা করি। ধরুন আপনি এবং আপনার বন্ধু জুলিয়ান এক শীতে ঠিক করলেন এডভেঞ্চার এ বের হবেন। যথারীতি আপনারা বের হয়ে গেলেন সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। উঁচু নিচু রাস্তায় দুই বন্ধু হাটছেন এবং গল্প করছেন, হঠাৎ আপনার চোখে পড়লো চমৎকার একটি স্ফটিক। সূর্যের আলো পড়ায় স্ফটিক টি থেকে রংধনুর সাত রঙ ঠিকরে বের হচ্ছে দেখতে যতটা না সুন্দর হাতে নিলে তার থেকেও বেশি সুন্দর দেখায়। এক পর্যায়ে আপনার মনে হলো এতো সুন্দর দেখতে স্ফটিক নিশ্চয় দামিও হবে ; এই স্ফটিক টি কে ফেলে গেল? আপনি ভাবতে লাগলেন অতঃপর আপনার বন্ধু জুলিয়ান আপনার কাধে হাত রেখে বললো এতো কি দেখছিস? চল আয় ” এখনো অনেক পথ বাকি। আপনি উল্টোমুখে জিজ্ঞেস করলেন ” এই সুন্দর স্ফটিক টা এখানে এলো কিভাবে তাই ভাবছি ‘ বন্ধু তৎক্ষনাৎ উত্তর দিলো, এটা কেউ এখানে আনেনি, চলতো। জুলিয়ান মজা করে বললেও আপনি নিশ্চয়ই তার কথায় সেটিস্ফাই হবেন না কেননা আপনার র‍্যাশনাল মাইন্ড একটি যৌক্তিক অর্থপূর্ণ ব্যাখ্যা চায়। হেন তেন ভাবে তাকে বোঝানো যাবে না। প্রতিটি ঘটনার পেছনে একটি কারণ আবশ্যক। এবার চিন্তা করুন তো স্ফটিক টি যদি ২০ মিটার লম্বা একটি গোলক হয় তবে কি এর অস্তিত্বের পেছনের কারণ জানতে চাওয়ার কৌতুহল আপনার কমে যাবে? মোটেই না বরং এতো বড় সুন্দর একটা জিনিস কিভাবে এখানে আসলো এ নিয়ে আপনার কৌতুহল আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে। যদি স্ফটিক টি মহাবিশ্ব সমপরিমাণ বা তার থেকেও বেশি বড় হয় তথাপি আপনার কারণ বা ব্যাখ্যা খোজার প্রবণতা কিন্তু বাড়বে বৈ কমবে না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও আমরা যে কারণ খুজি তা নিতান্তই অবান্তর কোনো চিন্তা নয়। এটি স্বতসিদ্ধ যৌক্তিক একটি চিন্তা।

 

কোয়ান্টাম কজালিটি:

অনেকের ধারণা হচ্ছে ‘ কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এ ভার্চুয়াল পার্টিকেল কোনো কারণ ছাড়াই অস্তিত্বে চলে আসে। এর উদাহরণ হিসেবে তারা যা দেখায় তা হচ্ছে Radio active decay বা তেজস্ক্রিয় ক্ষয় এর বিষয়টি। আসলেই কি তাই?

 

মূলত আইসোটোপ কার্বন-14 থেকে কার্বন-12 পর্যন্ত একক পরমাণুর তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের সময় কিভাবে কি হবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করার কোনো উপায় নেই।

 

“তেজস্ক্রিয় ক্ষয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স দ্বারা নির্ধারিত হয় – যা সহজাতভাবে সম্ভাব্য। সুতরাং কোন নির্দিষ্ট পরমাণু কখন ক্ষয় হবে তা বের করা অসম্ভব, কেননা তেজস্ক্রিয় ক্ষয় সম্পুর্ন র‍্যান্ডম একটি অবস্থা। এক্ষেত্রে কার্যকারণ অজানা থাকে অর্থাৎ আমরা কার্যকারণ কখন ঘটবে তা বলতে পারব না। [18]Protection and Dosimetry An Introduction to Health Physics. https://doi.org/10.1007/978-0-387-49983-3

তাত্ত্বিক কোয়ান্টাম পদার্থবিদ ক্যাসলাভ ব্রুকনার কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডে কার্যকারণ কে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,

 

ধরুন আপনার সামনে একসারি ডমিনো সাজানো আছে। ১০ টি অথবা ৫০ টি। আপনি যখন ই আলতো করে প্রথম ডমিনো টি ফেলে দেবেন আস্তে আস্তে বাকিগুলো ও পরতে থাকবে একের পর এক। A থেকে B ডমিনো এরপর B থেকে C এবং B ডমিনোর থেকে A ডমিনো স্বাধীন। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্যকারণ এর উদাহরণ। তবে কোয়ান্টাম জগতে A ডমিনোর পতনের ফলে B ডমিনো পরবে নাকি C ডমিনো তা নির্ণয় করা যায় না উপরন্তু ডমিনোর পতন A থেকে শুরু হবে নাকি B থেকে তা জানা থাকে না। অর্থাৎ কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডে কার্যকারণ অনির্ধারিত থাকে বা অজানা থাকে। [19]Caslav Brukner Causality in a quantum world.

DOI.org/10.1063/PT.6.1.20180328a

 

রয়্যাল সোসাইটিতে থেকে প্রকাশিত নতুন গবেষণা বলছে কার্যকারণ তত্ত্ব সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং তা সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব।

প্রফেসর ডি আরিয়ানো ২০১৮ সালে রয়্যাল সোসাইটিতে প্রকাশিত তার পেপার ” causality re established ” গবেষণায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে কার্যকারণ তত্ত্ব নিয়ে বলেন,

 

আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি যে কার্যকারণ কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটি উপপাদ্য এবং এটি ফলসিফায়েবল এবং প্রেডিকশন তৈরিতে সক্ষম যার ফলে কার্ল পপারের ডিমার্কেশন ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী কার্যকারণ সবক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। [20]D’Ariano, G. M. (2018). Causality re-established. Philosophical Transactions of the Royal Society A: Mathematical, Physical and Engineering Sciences, 376(2123), … Continue reading

 

কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটি: সম্ভাব্য বাস্তবতা

 

আমি, আপনি, আমাদের চারপাশের প্রকৃতি, আমাদের এই সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব অস্তিত্বে রয়েছে। এটি ভাবার বিষয় কেন এতোকিছু, এতো এতো প্রোপার্টির সম্মিলিত একটি সিকুয়েন্স, সমগ্র মহাবিশ্ব অস্তিত্বে রয়েছে? এগুলো না থাকলেই বা কি হতো? কেন অন্য কিছু নেই যা হয়তো আমাদের বাস্তবতার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা? আচ্ছা এমনটা কি হতে পারে আমাদের এই সম্পূর্ণ টোটাল রিয়েলিটির উর্ধ্বে কিছু রয়েছে, যা আছে বলেই আমাদের সমগ্র বাস্তবতার অস্তিত্ব রয়েছে? কিন্তু আমরা তো আমাদের মহাবিশ্ব, প্রকৃতি সবকিছু নিয়েই আমাদের সমগ্র বাস্তবতা কে কাউন্ট করছি, সেক্ষেত্রে এর বাহিরের কোনো কিছু কিভাবে রিয়েল বা ‘বাস্তব’ হতে পারে? এর মানে হচ্ছে আমাদের সমগ্র মহাবিশ্বই বাস্তবতা সুতরাং এর বাহিরের কোন কিছু আদোতে ‘বাস্তব’ নয়। অর্থাৎ এর কোনো আসল কারণ বা ব্যাখ্যা নেই? কিন্তু এটা তো কনফিউজিং , কেননা সাধারণত আমরা যা কিছু এক্সপেরিয়েন্স করি সবকিছুর একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। যেমন আমি এখন এই বইটি লিখছি, এটার একটি কারণ রয়েছে। আমরা PSR (Principle of Sufficient Reason) প্রিন্সিপাল অনুযায়ী জানি সাধারণ সকল কিছুর অস্তিত্বের জন্য একটি ব্যাখ্যা রয়েছে হতে পারে সেটি তার নিজের প্রকৃতির ব্যাখ্যা ( by nature) বা বাহ্যিক কোন কিছুর দ্বারা ব্যাখ্যা।

 

আমাদের মহাবিশ্ব এবং সম্পূর্ণ প্রকৃতি নিয়ে টোটাল রিয়েলিটির অস্তিত্বের ব্যাখ্যাটা তাহলে কি হতে পারে? মহাবিশ্ব কি নিজেকে নিজে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম? অর্থাৎ মহাবিশ্বের নিজস্ব প্রকৃতি কি তার অস্তিত্বের জন্য যথেষ্ট ব্যাখ্যামূলক ভূমিকা রাখতে পারে? এটি জানার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন Accidental properties এবং Essential Properties সম্পর্কে।

 

Essential properties: এসেনশিয়াল প্রোপার্টি বা অনিবার্য প্রোপার্টি বলতে বোঝায় এমন একটি সব প্রোপার্টি যা সকল পসিবল ওয়ার্ল্ডে এক্সিস্ট করবে। অর্থাৎ কোনো বস্তুর এসেন্স হলো তার মধ্যে নিমিত্ত প্রোপার্টি। যেমন ত্রিভুজের তিনবাহু ত্রিভুজের এসেন্স ( ত্রিভুজ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্যাস) এর আইডেন্টিক্যাল সুতরাং ত্রিভুজের তিনবাহু ত্রিভুজের Essential property. তিনবাহু ছাড়া ত্রিভুজ হবেনা। আবার ব্যাচেলর এর essential property হলো বিয়ে বা করা। প্রত্যেকটা পসিবল ওয়ার্ল্ডে ব্যাচেলর এর জন্য ‘বিয়ে না করা’ প্রোপার্টিটি বাধ্যতামূলক।

 

accidental properties: কোনো জিনিসের ক্ষেত্রে যদি এমন হয় ওই বস্তুটি অন্যভাবে থাকলেও ল অফ লজিক ভায়োলেট হয়না বা কিছু প্রোপার্টি যা তার মধ্যে থাকলেও তা পরিবর্তন হতে পারে সেগুলোকে বলা হয় accidental property. যেমন আমি এখন ফোনে বসে টাইপ করছি, আমি ডেস্কটপ এ টাইপ করলেও কিন্তু বইটি লেখা হতো এটি accidental property.

 

আমাদের মহাবিশ্বের বিষয়বস্তুসমূহ কোনোটিই Essential property এর অন্তর্ভুক্ত নয় বরং আমাদের টোটাল রিয়েলিটি হলো কন্টিনজেন্ট। আমরা পূর্বে মোডাল লজিকে নেসেসিটি, কন্টিনজেন্সি এগুলোকে এক্সপ্লেইন করেছিলাম। যেসকল কিছু থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে বা যেসকল বস্তু গুলো সকল পসিবল ওয়ার্ল্ডে এক্সিস্ট করেনা সেগুলো হলো কন্টিনজেন্ট বা ডিপেন্ডেন্ট। যেমন ধরুন একটি উড়ন্ত ঘোড়া এটি কোনো একটি পসিবল ওয়ার্ল্ডে থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে কিংবা বলা যায় গাছ পালা সূর্যের উপর নির্ভরশীল, সূর্য না থাকলে গাছপালার অস্তিত্ব থাকতো না সুতরাং গাছ পালা গুলো কন্টিনজেন্ট বা ডিপেন্ডেন্ট। আমাদের মহাবিশ্ব বা সম্পূর্ণ টোটাল যে রিয়েলিটি তার একটি নির্দিষ্ট ল রয়েছে। যেমন ল অফ ফিজিক্স। এগুলো কনক্রিট ওয়ার্ল্ডে চেইঞ্জ হতে পারবেনা তবে এই ল অফ ফিজিক্স গুলো ভায়োলেট হতে পারবেই না এমন কোনো কথা নেই, কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে আলোর গতি অন্যরকম হতেও পারে। কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট গুলো অন্যরকম ভাবে গঠিত হতে পারে। এমনকি আমাদের এই সম্পূর্ণ টোটাল রিয়েলিটি অস্তিত্বে নাও থাকতে পারতো অর্থাৎ আমাদের টোটাল রিয়েলিটির এইযে পরিবর্তন এগুলো ল অফ লজিককে ভায়োলেট করেনা।

 

আবার কন্টিনজেন্ট এর মানে হচ্ছে subject to chance.

অর্থাৎ কোনো কিছু ঘটার সম্ভাবনা। আমাদের মহাবিশ্ব নানা ধরনের সেপারেট অংশ নিয়ে গঠিত। আমাদের সম্পূর্ণ মহাবিশ্বকে বিকল্পভাবে সাজানোও সম্ভব। মহাবিশ্বের প্রোপার্টি গুলোকে অন্যভাবে চিন্তা করাও সম্ভব। অর্থাৎ আমাদের টোটাল রিয়েলিটি অস্তিত্বের জন্য রিয়েলিটি নিজেই নিজের ন্যাচারের মাধ্যমে নিজেকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়, বরং আমাদের টোটাল রিয়েলিটি অন্য কোন কিছুর উপর তার অস্তিত্বের জন্য নির্ভরশীল।

ইনিফিনিট রিগ্রেস:

ইনফিনিট রিগ্রেস বলতে বোঝায় অসীমের প্রত্যাবর্তন। বা বারবার অসীমের দিকে ফিরে আসা। অসীম সংখ্যক কোনো সিরিজের রিগ্রেসকেই মূলত ইনফিনিট রিগ্রেস বলা হয়। আমাদের মহাবিশ্ব যেহেতু আমাদের টোটাল রিয়েলিটি সেক্ষেত্রে আমাদের মহাবিশ্ব কন্টিনজেন্ট সেটা আমরা উপরে জেনেছি। এবং মহাবিশ্ব যুক্তিসঙ্গতভাবেই নির্ভরশীল এর জন্য অন্যান্য বৈজ্ঞানিক এবং ফিলোসফিক্যাল আর্গুমেন্ট থাকলেও তা দেখানোর তেমন প্রয়োজন নেই। যদি এমনটা হয় আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য অন্য একটি মহাবিশ্ব দায়ী এবং এভাবে p`1, p`2, p`3……. Ad infinitum। অর্থাৎ অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে কি মহাবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য তার নিজস্ব ব্যাখ্যা যথেষ্ট? মূলত না, যেমন ধরুন একটি রুলার কন্টিনজেন্ট একটি বস্তু, এখন এই রুলারকে যদি অসীম সংখ্যক ভাবে ভাগ করা হয় তাহলেও এর প্রত্যেকটি অংশ একে অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকবে আবার দেখা যাবে সম্পূর্ণ রুলারটিও কিন্তু কন্টিনজেন্ট সেক্ষেত্রে যদি অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব থেকে থাকে তাহলে সেই অসীম সংখ্যক মহাবিশ্বের সেট ও কন্টিনজেন্ট ই হবে যেহেতু ইনফিনিট সেট এর প্রতিটি এলিমেন্টস কন্টিনজেন্ট। সুতরাং অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব যদি থেকেও থাকে এবং অসীম রিগ্রেস যদি সম্ভব হয়ও তবুও তা মহাবিশ্ব বা টোটাল রিয়েলিটির থেকে কন্টিনজেন্সি বা নির্ভরশীলতা কে দূর করতে পারেনা।

আবার অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব “মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা দিতে পারেনা “। যেমন মহাবিশ্ব ১ এর কারণ হচ্ছে মহাবিশ্ব ২, মহাবিশ্ব ২ এর কারণ হচ্ছে মহাবিশ্ব ৩ , মহাবিশ্ব ৩ এর অস্তিত্বের কারণ হচ্ছে মহাবিশ্ব ৪ এভাবে অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব রয়েছে। তাহলে তারা কি একে অন্যের অস্তিত্ব কে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম? প্রথমত অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব একটি অন্যটির উপর নির্ভরশীল হলে পুরো সেটটিই নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, যদি এখানে ইনফিনিট রিগ্রেস সম্ভব হয়ও তবুও সম্পূর্ণ রিগ্রেসনের সেটটি কন্টিনজেন্ট বা নির্ভরশীল ই থেকে যাবে। কেননা এখানে একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল এবং এই ডিপেন্ডেন্ট চেইনটি ইনফিনিট হলেও তা ডিপেন্ডেন্ট ই থাকবে। সেক্ষেত্রে আমরা প্রশ্ন করতে পারি, কেন এই ইনফিনিট রিগ্রেস টি রয়েছে না থাকার পরিবর্তে, সুতরাং ইনফিনিট কজাল চেইন হলেও তা কন্টিনজেন্টই থেকে যাবে। তবে ইনফিনিট কজাল চেইন বা ইনফিনিট রিগ্রেস আসলে অসম্ভব। ও নিয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন হিলবার্ট হোটেল এবং জগতে অসীমতার অসম্ভাব্যতা

 বিগব্যাং এবং মহাবিশ্ব

জর্জ লেমাইত্রে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এক পেপার লিখলেন। ‘উন উনিভার্স হোমোজিন দ্য মাস কনস্ট্যান্ট এত দ্য রেয় ক্রোয়সা, রেদাঁ কোম্প দ্য লা ভিতেস রাদিয়াল দেস নেবুলিয়াসেস এক্সট্রা-গালাকতিকেস’। ফরাসি ভাষায় লেখা পেপার। অর্থ ‘অপরিবর্তনীয় ভর এবং ক্রমবর্ধমান ব্যাসার্ধের সুষম ব্রহ্মাণ্ডের আলোকে গ্যালাক্সি-বহির্ভূত নক্ষত্রপুঞ্জদের দূরত্ববৃদ্ধির ব্যাখ্যা’। প্রবন্ধটি ছাপা হল ‘অ্যানাল্‌স দ্য লা সোসাইতে সায়েন্তিফিক দ্য ব্রাসেলস’ জার্নালে। পেপারটির প্রতিপাদ্য স্পষ্ট। এক-একটা গ্যালাক্সি কত স্পিডে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তা এখান থেকে তার দূরত্বের সমানুপাতিক। মানে, যে গ্যালাক্সি যত দূরে, সে সরে যাচ্ছে তত বেশি বেগে। দুটো গ্যালাক্সি। পৃথিবী থেকে দুটোর দূরত্ব যথাক্রমে ৩০ লক্ষ এবং ৬০ লক্ষ আলোকবর্ষ। প্রথমটা যদি পৃথিবী থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ কিলোমিটার দূরে চলে যায়, তবে দ্বিতীয়টা যাবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ কিলোমিটার।

 

এই নিয়মটারই নাম ‘হাব্‌ল সূত্র’। কেন? বললেন লেমাইত্রে, তবু নামের মধ্যে হাব্‌ল এলেন কোথা থেকে? এ প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের সমাজতত্ত্বে। লেমাইত্রে তাঁর পেপার ছাপলেন ব্রাসেলস-এর বিজ্ঞান সমিতির জার্নালে। এবং ফরাসি ভাষায়। ফলে তা সাড়া ফেলল না বিজ্ঞানের দুনিয়ায়। ও দিকে হাব্‌ল ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে এক পেপার ছাপলেন আমেরিকার ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ জার্নালে। শিরোনাম ‘আ রিলেশন বিটুইন ডিসটান্সেস অ্যান্ড রেডিয়াল ভেলোসিটি অ্যামং এক্সট্রা-গ্যালাকটিক নেবুলি’। সেই এক প্রতিপাদ্য। গ্যালাক্সিদের পৃথিবী থেকে দূরত্ব এবং তাদের সরে যাওয়ার বেগের সম্পর্ক। আমেরিকা থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পেপার বিশ্বের বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ল। এবং ওই নিয়ম পরিচিত হল ‘হাব্‌ল সূত্র’ হিসেবে।

১৯৩১ সালে লিম্যাটার নতুন একটি হাইপোথিসিসের প্রস্তাবনা দেন। মহাবিশ্ব যদি ক্রমবর্ধমানই হয় তাহলে সুদূর অতীতে নিশ্চয়ই এটি ক্ষুদ্রতর ছিল এবং একেবারে শুরুতে মহাজগতের সকল বস্তু একটি প্রচন্ড ঘন আবদ্ধে একত্রিত ছিল। এর আগে আর্থার এডিংটন, উইলেম ডি সিটার ও আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীরা যে স্থির ও অবিকশিত মহাবিশ্বের মডেল নিয়ে কাজ করছিলেন তা অসন্তোষজনক হিসেবে পর্যবসিত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে লিম্যাটার প্রস্তাব করেন- সম্পূর্ণ মহাবিশ্বটি প্রাথমিকভাবে একটিমাত্র কণা হিসেবে বিদ্যমান ছিল, তিনি যার নাম দেন ‘প্রিমিভাল এটম’ বা ‘আদি পরমাণু’। এই পরমাণুটি একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভেঙে যায় যার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় স্থান ও সময় এবং এই বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হওয়া সম্প্রসারণ আজ পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এই ধারণাটিই বিগ ব্যাং তত্ত্বের সূচনা করে। ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল জ্যোতির্বিদই একটি অনন্ত স্থিরাবস্থার মহাবিশ্বের মডেল চিন্তা করেছিলেন। এদের মধ্যে অনেকেই বিগ ব্যাংয়ের ‘সময়ের শুরু’ ব্যাপারটি ধর্মীয় ধারণা থেকে এসেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। ধর্মের প্রতি লিম্যাটারের গভীর বিশ্বাসই হয়তো তাকে মহাজগতের শুরুর ব্যাপারে চিন্তা করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল, যদিও তিনি বেশ পরিষ্কারভাবেই বলেছিলেন তার ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের চিন্তাভাবনার কোনো সংযোগ এবং কোনো সংঘর্ষ নেই। তিনি দুটোকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে দেখেন যা মহাবিশ্বের রহস্যের সমান্তরাল দুটো ব্যাখ্যা হিসেবে বিশ্বাস করেন। পরবর্তীতে জর্জ গ্যামো বিগব্যাং নিউক্লিওসিন্থেসিস” এর মাধ্যমে বিগব্যাং সংঘটিত হওয়ার পরের সময়ে মৌলের নিউক্লিয়াস সৃষ্টির বিষয় টি ব্যাখ্যা করেন। বিগ ব্যাং নিউক্লিওসিন্থেসিস (বা আদিম নিউক্লিওসিন্থেসিস) বলতে বিগ ব্যাং-এর কিছু পরেই মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায়ে H-1, স্বাভাবিক, হালকা হাইড্রোজেন ছাড়া অন্য নিউক্লিয়াসের উৎপাদনকে বোঝায়। ১৯৬৫ সালে আমেরিকান জ্যোতিবিজ্ঞানি আর্নো পেনজিয়াস এবং রবার্ট উইনসন CMB/CMBR আবিষ্কার করেন। Cosmic microwave background হলো, এটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায় থেকে মহাবিশ্বের সমস্ত স্থান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেহেতু মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায় থেকে আসা কোনো তরঙ্গকে বিজ্ঞানিরা সনাক্ত করতে পেরেছিলো, তার মাধ্যমে মহাবিশ্বের বয়স সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছে। CMBR হলো, বিগ ব্যাং উৎপত্তির পক্ষে সবচেয়ে যুগান্তকারী প্রমাণ। যা থেকে আমরা বুঝতে পারি মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং থেকে উৎপত্তি হয়েছে। [21]https://doi.org/10.1103/PhysRev.74.505.2

*https://iopscience.iop.org/article/10.1086/310075

বিগব্যাং সিঙ্গুলারিটি: 

বিগ ব্যাং সিঙ্গুলারিটি বলতে কখনোই ফিজিক্যাল রিয়েলিটি কে বোঝাই না কেননা এটা ভ্যারিফায়েবল নয় এবং প্রেডিক্টেবল কোনো কিছুও না। মর্ডান ফিজিক্সে সিঙ্গুলারিটি কেবল মাত্র একটি গানিতিক দৃষ্টিভঙ্গি। সিঙ্গুলারিটি হলো একটা মেথমেটিক্যাল আইডিয়া। যদি আমাদের সম্প্রসারিত মহাবিশ্বকে একটি ফোলানো বেলুন হিসেবে কল্পনা করি এবং এর ক্রোনোলজি কে অতীতের দিকে ঘুরিয়ে দেই তাহলে দেখবো বেলুনের বাতাস ছেড়ে দিলে যেমন বেলুন ধীরে ধীরে চুপসে যেতে থাকে আমাদের মহাবিশ্বের সম্প্রসারিত রুপ তেমনই ভাবে সংকুচিত হতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে সকল পদার্থ, স্থান-কাল একক অদ্বৈত বিন্দুতে উপস্থিত হবে এই থট কেই গানিতিক ভাবে এক্সপ্রেস করার সময় সিংগুলারিটি ( এককতা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সিঙ্গুলারিটি মূলত কোনো ফিজিক্যাল স্টেট না, বরং প্ল্যাঙ্ক ইপোকের সময়কালে পদার্থবিজ্ঞানের সকল সূত্র ভেঙ্গে পরে একে সিঙ্গুলারিটি বলা হয় এবং টেকনিক্যালি যেহেতু সময়ের অস্তিত্বে আসার আগে ‘ before’ বলে কিছু সম্ভব না তাই ফিজিক্সে বিগব্যাং এর প্রিমোর্ডিয়াল স্টেট কে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়। মহাবিশ্বের শুরু আছে এ বিষয়টি কোনো ফিজিসিস্ট ই এড়াতে পারেন না। [22]Lisa Grossman (2012), Why physicists can’t avoid a creation event. NewScientist.https://www.newscientist.com/article/mg21328474-400-why-physicists-cant-avoid-a-creation-event/

 

আর্গুমেন্ট ফ্রম কন্টিনজেন্সি।

 

P1: Everything that exists has an explanation of its existence. (Either it exists by its own nature or some external reason)

P2: The universe exists.

P3: therefore, the universe has an explanation of It’s existence.

P4: That explanation is either explained by its own nature or some external thing.

P5: Universe can fail to exist, therefore the explanation of the existence of the universe is an external explanation.

Conclusion: The explanation is a necessary Being. ( God exist)

 

P1: Everything that exists has an explanation of its existence. (Either it exists by its own nature or some external reason)

প্রেমিস ১ এনালাইসিস করলে দেখা যাবে যা কিছু অস্তিত্বে রয়েছে সবকিছুর একটি ব্যাখ্যা বা কারণ বিদ্যমান। আমরা পূর্বের Principle of sufficient reason (PSR) নিয়ে আলোচনায় এ বলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং দেখিয়েছি causal explanation মূলত A priori knowledge. সুতরাং প্রেমিস ১ সত্য।

প্রেমিস ২ এর সাথে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না কারণ এটি self evident. প্রেমিস ৩ প্রেমিস ১ ও ২ থেকে প্রমাণিত।

 

P4: That explanation is either explained by its own nature or some external thing.

প্রেমিস ৪ আমাদের পূর্বের ভার্সনের PSR. এটি প্রমাণিত।

P5: Universe can fail to exist, therefore the explanation of the existence of the universe is an external explanation.

 

প্রেমিস ৫ অনুযায়ী মহাবিশ্ব কন্টিনজেন্ট ফ্যাক্ট। আমরা মোডাল লজিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় নেসেসারি এবং কন্টিনজেন্সি নিয়ে জেনেছিলাম। ◇p & ◇~p অর্থাৎ সম্ভাব্যভাবে এটি p হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন গোলাপি রঙের হাতি, এটি থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। দুটোই সম্ভব আবার দুটোর কোনোটিই সম্ভব নাও হতে পারে। আমাদের মহাবিশ্ব অস্তিত্বে নাও থাকতে পারে এটা সম্ভব, আবার মহাবিশ্বকে অন্যভাবে চিন্তা করাও সম্ভব। এটা সম্ভব যে কোনো পসিবল ওয়ার্ল্ডে মহাবিশ্বের আলোর গতি হবে সেকেন্ডে ১ কোটি কিলোমিটার। যার ফলে মহাবিশ্ব কন্টিনজেন্ট, এবং কন্টিনজেন্ট ফ্যাক্ট তার অস্তিত্বের জন্য চূড়ান্তভাবে নেসেসারি ফ্যাক্ট এর উপর নির্ভরশীল। সুতরাং মতো মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা বা কারণ হবে তার বাহ্যিক কোন কিছু।

 

Conclusion: The explanation is a necessary Being. ( God exist)

PSR থেকে আমরা জানি অস্তিত্বে রয়েছে এমন সবকিছুর অস্তিত্বের জন্য একটি ব্যাখ্যা রয়েছে হতে পারে ব্যাখ্যাটি তার নিজস্ব ন্যাচারের উপর ভিত্তি করে অথবা তার প্রকৃতির বাহ্যিক কোনো ব্যাখ্যার দ্বারা তাকে এক্সপ্লেইন করা যায়। আমরা নেসেসারি এবং কন্টিনজেন্সি ফ্যাক্ট নিয়ে জেনেছি, নেসেসারি ফ্যাক্ট গুলো অন্য কোনো ফ্যাক্ট এর উপর নির্ভরশীল এবং সেই ফ্যাক্ট গুলো কন্টিনজেন্ট হতে পারবেনা নাহলে ইনফিনিট রিগ্রেস এর ঝামেলায় পড়তে হবে এবং যা মেটাফিজিক্যাল নেসেসারি ট্রুথকে ভায়োলেট করে। সুতরাং কন্টিঞ্জেন্ট ফ্যাক্ট কোনো নেসেসারি গ্রাউন্ড এর উপর নির্ভরশীল। এবং সেই নেসেসারি গ্রাউন্ডটি হচ্ছেন একজন স্রষ্টা।

অনিবার্য অস্তিত্ব এবং স্রষ্টা

নেসেসারি বিয়িং এর প্রকৃতি:

আমাদের চারপাশের প্রকৃতি, মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের টোটাল রিয়েলিটি যা কন্টিনজেন্ট এগুলো অস্তিত্বে নাও থাকতে পারতো, কিংবা অন্যভাবেও অস্তিত্বে থাকতে পারতো, এগুলো কেন অস্তিত্বে রয়েছে? কেননা এর ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটি ‘স্পেশাল রিয়েলিটি বা বিশেষ বাস্তবতা ‘ যা নেসেসারি। মোডাল লজিকে নেসেসারি এক্সিস্টেন্স হচ্ছে যা কখনো অনস্তিত্বে থাকতে পারবেনা অর্থাৎ এটি সকল পসিবল ওয়ার্ল্ডে এক্সিস্ট করবে এবং এটির পক্ষে ‘অনস্তিত্ব’ লজিক্যালি অসম্ভব। এবং নেসেসারি এক্সিস্টেন্স সকল পার্ফেকশন মূলক প্রোপার্টি সর্বোচ্চস্তরে তার মধ্যে ধারণ করবে যেহেতু তা নেসেসারি বিয়িং।

 

১/ অসীম,অনন্ত।

যেহেতু আমরা যৌক্তিক বিশ্লেষণে উপসংহারে পৌঁছেছি যে একজন নেসেসারি বিয়িং রয়েছেন সেক্ষেত্রে এর অর্থ দাঁড়ায় তিনি সর্বদা অস্তিত্বে ছিলেন। শুরুহীন কোনো কিছু অবশ্যই সবসময় অস্তিত্বে ছিলো। সর্বদা অস্তিত্ব থাকার অর্থ সেটা অনন্তকাল ধরে বিরাজমান ছিলো অর্থাৎ স্রষ্টার কোনো শুরু এবং শেষ নেই, সৃষ্টির পূর্বেও তিনি সবসময়ই বিদ্যমান ছিলেন তাই এবং তিনি শ্বাশ্বত, চিরন্তন সত্ত্বা। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে “আল্লা-হু লাইলাহা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূম।

আল্লাহ ছাড়া কোনই ইলাহ (উপাস্য) নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও নিত্য বিরাজমান।” [23]সুরা আলে ইমরান আয়াতঃ ৩

 

২/অতিপ্রাকৃত

অসৃষ্ট একজন স্রষ্টা কখনোই সৃষ্টির সমতুল্য হতে পারেন না। তিনি তার সৃষ্টি থেকে অর্থাৎ আমাদের জানাশোনা সকল ফিজিক্যাল রিয়েলিটির থেকে সম্পূর্ণ মূক্ত। স্রষ্টা সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ রুপে আলাদা, কেননা তিনি যদি সৃষ্টির মতো হন অথবা তার কোনো অংশ সৃষ্টির মতো হয় তবে তিনি অথবা তার সেই অংশ কন্টিনজেন্ট / পরাধীন হয়ে পরবে যা যৌক্তিকভাবে অসম্ভব। তাই তিনি হবেন তার সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি অবস্তুগত স্বাধীন একজন সত্তা।প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়্যিমিয়া বলেন ” সৃষ্টি” শব্দটি স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়না, যেহেতু তিনি অসীম অসৃষ্ট সত্তা।” [24]Hoover, J. (2004). Perpetual Creativity in the Perfection of God: Ibn Taymiyya’s Hadith Commentary on God’s Creation of this World. Journal of Islamic studies. … Continue reading পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,

” তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং আন‘আমের জোড়া; এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন; কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। [25]The Qur’an, Chapter 42, Verse 11.

 

৩. All knowing ( সর্বজ্ঞ)

একজন স্রষ্টার অবশ্যই অসীম জ্ঞান থাকতে হবে যেহেতু তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্র দ্বারা জগৎ কে সুক্ষ্মভাবে সাজিয়েছেন। সবল নিউক্লিয় বল, দূর্বল নিউক্লিয় বল, মহাকর্ষ বল অন্যান্য যাবতীয় সকল সূত্র সম্পর্কে স্রষ্টা অবগত থাকবেন যেহেতু তিনি মহাবিশ্ব কে সৃষ্টি করেছেন। যেহেতু মহাবিশ্বে এতো সুক্ষ্ম নিয়ম রয়েছে এই নিয়মসমুহ একজন নিয়ম প্রদানকারী কে ইঙ্গিত করে এবং একজন নিয়ম প্রদানকারী অবশ্যই জ্ঞানী হবেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ” اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَا یَکُوۡنُ مِنۡ نَّجۡوٰی ثَلٰثَۃٍ اِلَّا ہُوَ رَابِعُہُمۡ وَ لَا خَمۡسَۃٍ اِلَّا ہُوَ سَادِسُہُمۡ وَ لَاۤ اَدۡنٰی مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡثَرَ اِلَّا ہُوَ مَعَہُمۡ اَیۡنَ مَا کَانُوۡا ۚ ثُمَّ یُنَبِّئُہُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۷﴾

আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মাইয়াকূনুমিন নাজওয়া-ছালা-ছাতিন ইল্লা-হুওয়া রা-বি‘উহুম ওয়ালা-খামছাতিন ইল্লাহুওয়া ছা-দিছুহুম ওয়ালাআদনা-মিন যা-লিকা ওয়ালাআকছারা ইল্লা-হুওয়া মা‘আহুম আইনা মা-কা-নূ ছু ম্মা ইউনাব্বিউহুম বিমা-‘আমিলূইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

তুমি কি অনুধাবন করনা, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয়না যাতে চতুর্থ হিসাবে তিনি উপস্থিত থাকেননা; এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয়না যাতে ষষ্ঠ হিসাবে তিনি উপস্থিত থাকেননা; তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশি হোক, তারা যেখানেই থাকুকনা কেন তিনি তাদের সাথে আছেন। তারা যা করে, তিনি তাদেরকে কিয়ামাত দিবসে তা জানিয়ে দিবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত।” [26]The Qur’an, Chapter 58. Verse 7.

 

৪. All Powerful ( সর্বশক্তিমান)

সৃষ্টিকর্তা ( নেসেসারি বিয়িং) অবশ্যই সর্বশক্তিমান যেহেতু তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। এবং মহাবিশ্ব বিপুল পরিমাণে এনার্জির সম্ভার। স্রষ্টার ব্যবহারিক এবং সম্ভাব্য শক্তি রয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণরত মহাবিশ্বে পরমাণুর সংখ্যা প্রায় ১০^৮০! এবং আপনি যদি একটি পরমাণু নিয়ে সেটাকে বিভাজিত করেন তাহলে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপত্তি হবে। সুতরাং অবশ্যই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তার শক্তি থাকতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ” আল্লাহ যা ইচ্ছে তাই করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয় এ সর্বশক্তিমান। ” [27]The Qur’an, Chapter 24, Verse 45.

 

৫. Will Power ( ইচ্ছে শক্তি)

সৃষ্টিকর্তার অবশ্যই ইচ্ছে শক্তি থাকতে হবে। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে তন্মধ্যে কিছু বিষয় হাইলাইট করা যাক। প্রথমত মহাবিশ্ব অস্তিত্বে ছিলো না বরং একটা নির্দিষ্ট সময় পূর্বে স্রষ্টা মহাবিশ্ব কে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে নিয়ে আসার মধ্যে একটা প্রবণতা বা ইচ্ছে কাজ করে সুতরাং স্রষ্টার অবশ্যই will power থাকবে। দ্বিতীয়ত মহাবিশ্বের ভেতর এ যা রয়েছে তন্মধ্যে এখন পর্যন্ত মানুষ একমাত্র সচেতন কনশাসনেস যুক্ত প্রাণী যারা স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে পারে। আমরা বিভিন্ন কিছু চিন্তা করি, আবিষ্কার করি যেমন এই বইটি লেখার সময় আমি প্রচন্ড রকম ক্রিটিকাল চিন্তা করছি এসব ই আমার কনশাসনেস থাকার ফলে সম্ভব হচ্ছে, আমরা বাস্তবতাকে বোঝার চেষ্টা করি, প্রশ্ন করি সবমিলিয়ে অনেক কিছু। এরকম কনশাস প্রাণীসহ মহাবিশ্ব তৈরি করতে হলে যিনি তৈরি করবেন অবশ্যই তাকে আগে কনশাস হতে হবে সৃষ্টি করার ইচ্ছে থাকতে হবে তবেইনা তিনি আমাদের সৃষ্টি করবেন

এছাড়াও কোনো সত্তার কাছে যা নেই সে তা অন্যত্র দিতে পারবেনা যদি স্রষ্টার ইচ্ছে শক্তি না থাকে তবে তিনি কখনোই আমাদের সৃষ্টি করতে পারতেন না স্রষ্টার সৃষ্টির এই কার্যক্রম (act) এর সাথে বহুমাত্রিক গুণাবলি সংযোজিত তন্মধ্যে এই ইচ্ছে শক্তি একটি। স্রষ্টা মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি করেছেন? এগজ্যাক্টলী আমরা জানিনা কেননা আমরা তা পর্যবেক্ষণ করিনি তবে আমাদের একটি ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা রয়েছে স্রষ্টা ইচ্ছে করেছেন এরপর তিনি সকল উপাদান নিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। অধুনা বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব এ বিষয়টিকে ভুল প্রমাণ করে না মোটেও সুতরাং সৃষ্টির ক্ষেত্রে সৃষ্টির জন্য ইচ্ছে বা তাগিদ থাকা প্রয়োজনীয় তা স্রষ্টার রয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছে শক্তি নিয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,

” তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে, যে পর্যন্ত আসমান ও যমীন স্থায়ী থাকে। তবে যদি আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে ভিন্ন কথা; নিশ্চয়ই তোমার রাব্ব যা কিছু চান তা তিনি পূর্ণরূপে সমাধা করতে পারেন।” [28]The Qur’an, Chapter 11, Verse 107

নেসেসারি বিয়িং হওয়ায় প্রতিটি গুণ তার মধ্যে পার্ফেক্টলি থাকবে এবং সেগুলো হবে গুণে অসীম অর্থাৎ ‘ এর থেকে উর্ধ্বে বা বেশি আর সম্ভব নয়’। এবং তিনি হবেন একজন স্রষ্টা।

 

কিছু একাডেমিক ক্রিটিক এবং রেস্পন্স:

 

স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে অন্যতম একটি সেরা আর্গুমেন্ট হচ্ছে কন্টিনজেন্সি আর্গুমেন্ট বা ডিপেন্ডেন্সি আর্গুমেন্ট। বেশ কিছু প্রমিনেন্ট ফিলোসফাররা এর বিপক্ষে কিছু যুক্তি দিয়ে থাকেন। তন্মধ্যে ফ্যালাসি অফ কম্পোজিশন, ইনফিনিট রিগ্রেস এসব নিয়ে আলোচনা আমরা শুরুর দিকেই ক্লিয়ার করেছি। তবে Bootstrapping আর্গুমেন্টটি মোটামুটি সমসাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা বিস্তারিত ক্রিটিক।

১. নির্ভরশীল রিয়েলিটির অস্তিত্বের কারণ হয় কন্টিনজেন্ট বা নেসেসারি। তবে-

যদি কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটির অস্তিত্বের কারণ কন্টিনজেন্ট হয় তবে এটি সার্কুলার হয়ে যায় যা রিগ্রেস তৈরি করে। যা অসম্ভব।

২. আবার যদি কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটির অস্তিত্বের কারণ যদি নেসেসারি ফ্যাক্ট হয় তবে সেটার ইফেক্ট অর্থাৎ এই কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটিও নেসেসারি হওয়ার কথা – কিন্তু তা হয়নি।

 

যার ফলে কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটির কোনো কারণ থাকতে পারে না।

 

এই ক্রিটিকের রিফর্মেশন আকারে আরেকটি ক্রিটিক আছে পিটার ভ্যান ইন ওয়াগেনের। সেটা হচ্ছে নেসেসারি বিয়িং এর ইফেক্ট ও নেসেসারি হবে অর্থাৎ মহাবিশ্বও নেসেসারি হবে। বিষয়টা হচ্ছে এমন যে যদি গড মহাবিশ্বকে অস্তিত্বে আনতে চান তবে সেটা তো আর কোনো কিছু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হবে না অর্থাৎ তিনি চাইলে মহাবিশ্ব অস্তিত্বে আসবেই এবং এইদিক থেকে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব অনিবার্য, সুতরাং ঈশ্বর থাকলে মহাবিশ্ব অনিবার্য অস্তিত্ব হতো, কিন্তু মহাবিশ্ব অনিবার্য নয় বরং নির্ভরশীল তাই স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই।

 

তো মূলত এই ক্রিটিকটির সমস্যা হচ্ছে এখানে মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে কারণ কে ‘ইভেন্ট কজেশন’ হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে এবং গডের ক্রিয়েশনকে ‘মেকানিক্যাল কজেশন’ হিসেবে প্রিসাপোজ করে নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে কোনো স্বাধীন ইচ্ছে নেই স্রেফ র‍্যান্ডম কজ এবং ইফেক্ট রয়েছে এমন ধরে নেয়া হয়েছে। এটা সত্য স্রষ্টা চাইলে মহাবিশ্ব অস্তিত্বে আসবেই তবে এটাও সত্য তিনি অস্তিত্বে না নিয়ে আসলে তা আর অস্তিত্বে আসবেনা। স্রষ্টা মহাবিশ্ব কে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছেন তার ফ্রি উইল দ্বারা। গড ভলিশনাল এজেন্ট হওয়ায় তার উইলের জন্য কন্টিনজেন্ট স্টাফ এর মতো ‘ এক্সটার্নাল কজ’ খোজাটা ক্যাটাগরি ফ্যালাসি। অপরদিকে ‘ God will to create contingent things ‘ এই বাক্যটি লজিক্যালি ইম্পসিবল নয় বরং এটি সম্পূর্ণ কনসিস্টেন্ট একটি ফর্মুলা। অল পাওয়ারফুল এজেন্ট হিসেবে তিনি প্রি এক্সিস্টিং স্টাফ ছাড়াই যদি মহাবিশ্ব তৈরি করতে পারেন তবে ভলিশনাল এজেন্ট হিসেবে তিনি এজেন্ট কজেশান এর মাধ্যমে কন্টিনজেন্ট রিয়েলিটিকে অস্তিত্বে নিয়ে আসতেই পারেন এবং মনে রাখা প্রয়োজন এই ডিপেন্ডেবল’ রিয়েলিটি তার এসেন্স এর অন্তর্ভুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে নেসেসারি বিয়িং এর ইরাদা ( ফ্রি উইল) এর ইফেক্ট ও মাস্ট নেসেসারি হতে হবে এমন কোন কথা নেই বরং এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবি।

অবজেকশন-২ 

অন্যদিকে গড Omniscience এ থেকে দেখানোর চেষ্টা করা হয় তিনি মহাবিশ্ব ক্রিয়েট করতে চাইলে পরবর্তীতে সেটা আর ‘না করতে পারবেন না ‘। যেমন গডের Omniscience হলো গড সকল ট্রু প্রপোজিশন জানেন। এখন ধরুন যেহেতু গড Omniscient, তিনি জানেন তিনি মহাবিশ্ব তৈরি করবেন। এটা যদি একটা ট্রু প্রোপোজিশন হয় তাহলে কি এটা সম্ভব যে তিনি মহাবিশ্ব তৈরি করবেন না? উত্তর হলো, না সম্ভব না। তিনি যদি মহাবিশ্ব তৈরি না করেন তাহলে সেই প্রোপোজিশন টা ভুল প্রমাণিত হবে। অর্থাৎ গড যেটা আগে থেকে জানতেন সেটা ভুল জানতেন। কিন্তু গড তো সকল ট্রু প্রোপোজিশন জানেন তার দ্বারা কি ভুল জানা সম্ভব? মূলত এখানে Omniscience & Omnipotent কে মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ দেখানোর চেষ্টা করা হয়।

 

জবাব: এখানে ধরে নেয়া হ’য়েছে গড এর উইল কন্টিনজেন্ট ফ্যাক্ট এর মতো পরিবর্তন হয়। যেহেতু গড omniscience যেহেতু তিনি সবকিছুই জানেন এমনকি তার ডিসিশন সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি তার ডিসিশন চেইঞ্জ করলে সেটা সম্পর্কেও তিনি অবগত যার ফলে out of free will তিনি লজিক্যালি সম্ভব এমন সবকিছুই করতে পারবেন। আবার : ‘ তিনি মহাবিশ্ব তৈরি করবেন এটা জানেন এবং এটা না করলে তার ‘আগে’ জানা বিষয়টা ভুল হবে ‘ এই স্টেটমেন্টটি ভুল। কেননা গড ভার্টিক্যালি কোনো কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছেন না বরং সকল কিছুই তার জ্ঞাত। সুতরাং তিনি করবেন এবং করবেন না, কিংবা তিনি এটাকে বড় বানাবেন বা বানাবেন না এই বিষয় বা সিদ্ধান্ত গুলো তিনি timeless ভাবে জানেন, যার ফলে in time একটি হলে আরেকটি বাতিল এই ধারণাটি গডের ক্ষেত্রে একেবারেই খাটেনা। গড সিদ্ধান্ত নিলে মহাবিশ্ব তৈরি হবে এটা অনিবার্য তবে মহাবিশ্বের এই ‘ অস্তিত্বে আসাটা অনিবার্য ‘ খোদ মহাবিশ্ব কোনো অনিবার্য অস্তিত্ব নয় যেমন মহাবিশ্ব তৈরি হয়ে গেছে এখন যদি মহাবিশ্বের ইকুয়েশন থেকে গড কে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে কি হবে? মতো মহাবিশ্বের অস্তিত্ব বলেই কিছু থাকবে না কারণ মহাবিশ্বের অস্তিত্বে আসার জন্য সেটা গড এর উপরই নির্ভরশীল।

 

 

 

 

 

 

References

References
1 Aristotle, Prior Analytics, Book II, Part 22, 68a

2 https://projecteuclid.org/journals/notre-dame-journal-of-formal-logic/volume-15/issue-2/On-a-passage-of-Aristotle/10.1305/ndjfl/1093891315.full
3 http://classics.mit.edu/Aristotle/prior.html
4 De Venatione Sapientiae, 23.

5 Curley, E. M. (October 1971). “Did Leibniz State “Leibniz’Law”?”. The Philosophical Review. 8 (4): 497–501.https://philpapers.org/rec/CURDLS
6 https://www.jstor.org/stable/j.ctt9qh7ww?turn_away=true
7 https://plato.stanford.edu/entries/aristotle-noncontradiction/
8 8.Łukasiewicz (1971) p.487
9 Whitaker, CWA Aristotle’s De Interpretatione: Contradiction and Dialectic page 184
10 Rijk, Lambertus Marie de (1972). Peter of Spain (Petrus Hispanus Portugalensis): Tractatus: Called afterwards Summulae logicales. First critical ed. From the manuscripts. ISBN 9789023209751
11 https://www.jstor.org/stable/40231476?origin=JSTOR-pdf
12 Avicenna, Metaphysics, I.8 53.13–15 (sect. 12 [p. 43] in ed. Michael Marmura); commenting on Aristotle, Topics I.11.105a4–5. The editorial addition (brackets) is present in Marmura’s translation.
13 Laws of thought”. The Cambridge Dictionary of Philosophy. Robert Audi, Editor, Cambridge: Cambridge UP. p. 489.https://www.emerald.com/insight/content/doi/10.1108/RR-12-2015-0291/full/html
14 Aristotle’s Metaphysics. Translated by Sachs, Joe (2nd ed.). Santa Fe, N.M.: Green Lion Press. 2002.
15 This is Leibniz’s very simple formulation (see Nouveaux Essais, IV,2)” (ibid p 421)

https://www.perseus.tufts.edu/hopper/morph?l=qeo%2Ffil-os&la=greek&can=qeo%2Ffil-os0

16 Aristotle, Physics 194 b17–20; see also Posterior Analytics

71 b9–11; 94 a20

17 F]or a full range of cases, an explanation which fails to invoke all four causes is no explanation at all.”—Falcon, Andrea. [2006] 2019
18 Protection and Dosimetry An Introduction to Health Physics. https://doi.org/10.1007/978-0-387-49983-3
19 Caslav Brukner Causality in a quantum world.

DOI.org/10.1063/PT.6.1.20180328a

20 D’Ariano, G. M. (2018). Causality re-established. Philosophical Transactions of the Royal Society A: Mathematical, Physical and Engineering Sciences, 376(2123), 20170313.https://doi.org/10.1098/rsta.2017.0313
21 https://doi.org/10.1103/PhysRev.74.505.2

*https://iopscience.iop.org/article/10.1086/310075

22 Lisa Grossman (2012), Why physicists can’t avoid a creation event. NewScientist.https://www.newscientist.com/article/mg21328474-400-why-physicists-cant-avoid-a-creation-event/
23 সুরা আলে ইমরান আয়াতঃ ৩
24 Hoover, J. (2004). Perpetual Creativity in the Perfection of God: Ibn Taymiyya’s Hadith Commentary on God’s Creation of this World. Journal of Islamic studies. https://academic.oup.com/jis/article/15/3/287/883651?login=false
25 The Qur’an, Chapter 42, Verse 11.
26 The Qur’an, Chapter 58. Verse 7.
27 The Qur’an, Chapter 24, Verse 45.
28 The Qur’an, Chapter 11, Verse 107

Asief Mehedi

Assalamualaikum to all.My name is Asief Mehedi . I am an informal philosophy student. Let's talk about comparative theology, we work to suppress atheism. Help us to suppress atheism and come forward to establish peace.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button