Speciation: প্রজাত্যায়ন

বিবর্তনবাদ

প্রজাতি আসলে কি?

কোনো পপুলেশনের বিদ্যমান প্রাণীরা যদি নিজেদের মধ্যে ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন করতে পারে তবে তাদেরকে একটি প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। পপ্রাকৃতিক অবস্থার অধীনে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় জিন পুল কেই প্রজাতি বলে অর্থাৎ কোনো পপুলেশনের মধ্যে যদি জিন ফ্লো চলমান থাকে তবে তাকেও প্রজাতি বলা হয়।

University of California

উদাহরণস্বরূপ, এই সুন্দর মুখের মাকড়সাগুলি দেখতে আলাদা, কিন্তু যেহেতু তারা আন্তঃপ্রজনন করতে পারে, তাই তারা একই প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রকৃতপক্ষে প্রজাতির সংজ্ঞা ঠিক যতটা সহজ দেখা যায় আদোতে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক সংজ্ঞা নিরুপন করা প্রায় অসম্ভব এবং বেশ জটিল।

প্রজাত্যায়ন

বিবর্তনের ফলে একটা প্রজাতি থেকে একাধিক প্রজাতির বিবর্তন হয়। এই প্রজাতি উৎপন্ন হবার প্রক্রিয়াটাই প্রজাতিকরণ বা Speciation.

প্রজাতির উত্স সম্বোধনের ক্ষেত্রে, দুটি মূল সমস্যা রয়েছে: প্রজাতির বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া এবং কিভাবে প্রজাতির পৃথকতা এবং স্বতন্ত্রতা বজায় থাকে তা বোঝা।

চার্লস ডারউইনের সময় থেকে, প্রজাতির ন্যাচার সম্পর্কে বোঝার প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে প্রথম দিকের বিজ্ঞানীদের ধারণার উপর ছিলো , এবং এটি এখন ব্যাপকভাবে গৃহীত মত যে নতুন প্রজাতির উৎপত্তির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ( রিপ্রোডাক্টিভ আইসোলেশন) প্রজনন বিচ্ছিন্নতা।

রিপ্রোডাক্টিভ আইসোলেশন

রিপ্রোডাক্টিভ আইসোলেশনঃ প্রজনন বিচ্ছিন্নতা হচ্ছে প্রজাত্যায়নের অন্যতম বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া। প্রচলিত ট্যাক্সোনমি অনুসারে কোনো পপুলেশনের প্রানীরা যদি একে অন্যের সাথে রিপ্রোডাক্টিভলি আইসোলেটেড থাকে অর্থাৎ একে অন্যের সাথে ইন্টারব্রিড না করতে পারে কিংবা ইন্টারব্রিড করার পর যদি ফার্টাইল অফস্প্রিং জন্ম দিতে না পারে তাহলে তাদেরকে একই জেনাসের আলাদা প্রজাতি হিসেবে গন্য করা হয়। রিপ্রোডাক্টিভ আইসোলেশনের দুটো প্রকার রয়েছে। ১. প্রি জাইগোটিক এবং ২. পোস্ট জাইগোটিক।

 

প্রি-জাইগোটিকঃ প্রি জাইগোটিক আইসোলেশন হচ্ছে জাইগোট গঠিত হওয়ার আগের বাধা। এই প্রজনন বিচ্ছিন্নতায় দুটো প্রাণী ডিম্বানু এবং শুক্রাণু নিষিক্তকরণের মাধ্যমে জাইগোট তৈরি করতে পারে না অর্থাৎ একে অন্যের সাথে সঙ্গম করতেই পারে না। যার ফলে তাদের মধ্যে জিন ফ্লো প্রবাহমান থাকেনা এবং দুটো প্রজাতি আলাদা হয়ে যায়।

পোস্ট জাইগোটিকঃ পোস্ট জাইগোটিক আইসোলেশন হচ্ছে গ্যামেট তৈরির পরের বাধা। এই প্রজনন বিচ্ছিন্নতায় দুটো প্রানী ডিম্বানু এবং শুক্রাণুর নিষিক্তকরণের মাধ্যমে জাইগোট তৈরি করতে পারে এবং বাচ্চাও জন্ম দিতে পারে। তবে ফার্টাইল অফস্প্রিং আসে না অর্থাৎ সন্তান উর্বর হয়না, জন্ম নেয়া সন্তান অন্য কোনো প্রানীর সাথে মেটিং করতে পারে না ফলে সন্তান জন্ম নিলেও প্রজাতি আলাদাই থেকে যায়।

রেফারেন্সঃ

 

১. Berlocher, Stewart H. (1998). “Origins: A Brief History of Research on Speciation”. In Howard, Daniel J.; Berlocher, Stewart H. (eds.). Endless Forms: Species and Speciation. New York: Oxford University Press. Page: 3

২.https://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/j.0014-3820.2004.tb01586.x

 

Asief Mehedi

Assalamualaikum to all.My name is Asief Mehedi . I am an informal philosophy student. Let's talk about comparative theology, we work to suppress atheism. Help us to suppress atheism and come forward to establish peace.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button