দাসীকে অন্যের সাথে বিয়ে দিতে কি দাসীর অনুমতি লাগবে?দেনমোহর কে পাবে?

Questions & AnswerCategory: ইসলামদাসীকে অন্যের সাথে বিয়ে দিতে কি দাসীর অনুমতি লাগবে?দেনমোহর কে পাবে?
Fahim Khan asked 1 year ago
দাসীকে অন্যের সাথে বিয়ে দিতে কি দাসীর অনুমতি লাগবে?দেনমোহর কে পাবে? আজকে এক জায়গায় পড়লাম:- জুমহুর ওলামাদের মত অনুসারে মনিব তার দাস-দাসীদের তাদের সম্মতি ছাড়াই বিবাহ দিতে পারবেন। তাফসিরুল কুরতুবি ১২/২৪০ আল-জুওয়াইনি লিখেছেন, “মনিবের অধিকার আছে ক্রীতদাস-দাসীকে বিয়ে দেওয়ার। তাদের সম্মতির দরকার নেই। কারণ, এখানে ইতোমধ্যেই মালিকানা চুক্তির মাধ্যমে মনিবের এই অধিকার আছে।” — Kitab nihayat almattlab fi dirayat almadhhab 12/63 তবে এখানে হাম্বলী ফীক্বহ অনুসারে এক্সেপশন আছে। ইবনে কুদামাহ লিখেছেন,“মনিবের অধিকার নেই তার দাসীকে ত্রুটিযুক্ত (যেমন: নপুংসক হওয়া, কুষ্ঠরোগ ইত্যাদি) কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করতে বাধ্য করার।” — আল মুগনী ৭/৫৬ https://shamela.ws/book/8463/2866ইমাম মালিক বলেছেন, “ক্ষতিকর হলে তা জায়েজ নয়।” — তাফসিরুল কুরতুবি ১২/২৪০ইমাম শাফিঈ বলেছেন, “দাস-দাসীকে বিবাহে বাধ্য করা মনিবের কাজ নয়। তবে সমসাময়িক তাঁর সাথীরা বিপরীত মতের পক্ষে ছিলেন।” - প্রাগুক্ত ১২/২৪১এ সম্পর্কে আরও জানুন, মাউসূ\'আহ আল ফীক্বইয়্যাহ আল কুয়েতিয়্যাহ ২৩/৪৯, রওদাত আল-তালিবিন 7/102, 103-ব্যাপারটা অমানবিক না? একজনকে অন্যের সাথে বিয়ে দিবেন তার সম্মতি ছাড়াই? তার কি নিজের স্বামী চয়েসের কোনো অধিকার নেই? দাসী কে দিয়ে অন্যান্য কাজ করানো যেতে পারে, কিন্তু বিয়ে তো অনেক অনেক বড় একটা ব্যাপার। দুইজন মানুষের জীবনের প্রধানতম ব্যাপারের একটি। বাকি জীবন এর উপর নির্ভর করে।
1 Answers
Brother of another mom and dad answered 7 months ago
আমার কিছু প্রশ্ন রইল প্রশ্নকারীর কাছে, সম্মতিতে বিয়ের আগে সহবাস করার অনুমতি আছে সেকুলার কালচারে। এটা কি অন্যায় নাকি অন্যায় নয়? সম্মতিতে ১৮ এর আগে বিয়ের অনুমতি না থাকলেও ১২/১৩ বছর বয়সি মেয়ের সাথে সম্মতিতে সহবাস করার অনুমতি দেওয়া আছে সেকুলার কালচারে এখন সে উপযুক্ত হোক বা না হোক। এটা কি মানবিক নাকি অমানবিক? সম্মতিতে গর্ভপাত করার অধিকার দেওয়া আছে পশ্চিমা দেশগুলোতে, এটাকি মানবিক নাকি অমানবিক? বহু দেশে একটা মেয়ে সম্মতিতে কারো সাথে সহবাস করল, তারপর সে তার নামে ক্যাস করে দিল যে সহবাসের সময় তার সম্মতি ছিল না, তার যার সাথেই সহবাস করেছে সেটা যেই হোক না কেন হোক বয়ফ্রেন্ড বা হোক বেস্টফ্রেন্ড বা হোক কাসমার বা হোক স্বামী সে ধর্ষক হিসেবে গণ্য হবে ও শাস্তি পেতে হবে। এটা কি মানবিক নাকি অমানবিক? (অসংখ্যা এমন বাস্তব ঘটনা পাবেন পত্রিকা বা নিউজ চ্যানেল খুললেই) আমার মেয়ে সম্মতিতে গাঞ্জাখোর, মদখোর কারো কাছে বিয়ে করতে চাইলে ও বিয়ে করে তার হাতে নির্যাতনের শিকার হবে আমি নিশ্চিত তাহলে তাকে সেই নেশাখোরের কাছে বিয়ে দেওয়া আমার জন্য মানবিক হবে নাকি অমানবিক? বহু দেশে ১৪/১৫ বছরের ছেলের সাথে সম্মতিতে ২৫/৩০/৪০ বছর বয়সি মানুষ সমকামিতা করতে পারবে। স্বাভাবিক ভাবেই আকল এটাই বলে সেই ছেলেটার ক্ষতি হবে, তাহলে এটা কি মানবিক হবে নাকি অমানবিক? কোন বিবাহিত মেয়ে বা ছেলে সম্মতিতে তার স্বামী বা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি অপর কোন পারসনের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে তাহলে তা মানবকি হবে নাকি অমানবিক? (হাজারো ঘটনা ঘটতেছে এমন, হাজারো নারী বা হাজারো) বহু নাস্তিক সম্মতির ভিত্তিতে অজাচারকে সমর্থন করে, এটা কি ন্যায় নাকি অন্যায়? সম্মতির ভিত্তিতে সহবাস করে বাচ্চা জন্ম দিয়ে তাদের ফেলে দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া বা এতিম খানায় দিয়ে দেওয়া কি মানবিক নাকি অমানবিক? সম্মতিতে সহবাস করার পর যদি পুরুষটি সন্তানের দায়িত্ব না নেয় তাহলে কি তা মানবিক হবে নাকি অমানবিক? কারন পুরুষতো সহবাসের জন্য সম্মতি দিয়েছিল, বাচ্ছা পালনের জন্য নয়। বহু দেশে পশুর সাথে সহবাসের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই, এমনকি বহু দেশে পশু পর্ণগ্রাফির অনুমতিও দিয়ে রাখা হয়েছে। অনেকেতো এমনও বলেছে পশুকে উত্তেজিত করতে পারলে তা সম্মতি হিসেবে গণ্য হবে। এমন নিউজও দেখা গিয়েছে পশুকে ধর্ষণ করার পর দাবি করা হয়েছিল পশুর সম্মতিতেই নাকি সব হয়েছে। প্রশ্ন রইল এখনে এগুলো কি মানবিক নাকি অমানবিক? প্রায় সব ধর্মে একাধিক পুরুষের সাথে বা একাধিক নারীর সাথে এক টাইমে এক সাথে সহবাস করা নিষিদ্ধ। এমনকি বহু অমুসলিম দেশেও পলিগেমি নিষিদ্ধ। তাহলে এখন যদি কোন মেয়ের সম্মতিতে তাকে ৫/৬ জন এক সাথে ধর্ষণ থুক্কু (সম্মতিতে সহবাসতো আবার ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হয় না) তার সাথে সহবাস করে সেটা কি মানবিক হবে নাকি অমানবিক? ধরেন আপনার স্ত্রীকে কেউ ১০ হাজার টাকা দিল, তারপর ৩ জনের মিলে তার সাথে সারারাত তার সম্মতিতে সহবাস করল, এতে আপনার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে গেল। আপনার কাছে প্রশ্ন এটা কি ন্যায় নাকি অন্যায়, এটাকি মানবিক নাকি অমানবিক? প্রশ্নকারী যদি বলেন এগুলো অন্যায়, অমানবিক তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন রইল কেন অমানবকি বা অন্যায় হবে? কারন সব কিছুতেতো সম্মতির কনসেপ্টটার ভিত্তিতেই হচ্ছে। আপনারা কি এই নীতি অনুসরন করেন না যে সম্মতির ভিত্তিতে যাই কর তাই মানবিক তাই ন্যায়? যদি এই নীতির অনুসরন করেন তাহলেতো এগুলো অমানবিক হওয়ার কথাই না। যদি এই নীতির অনুসরন না করেন তাহলে কেন ইসলামের কোন কিছুকে সম্মতির ভিত্তিতে অন্যায় বলতে আসেন? কেন ইসলামের কোন কিছুকে এই সো-কল্ড সম্মতির ভিত্তিতে অমানবিক বলতে আসেন? মুর্খতা এত বেড়ে গিয়েছে যে কি আর বলার, শিক্ষিত মানুষরাও পশ্চিমাদের এইসব ডাবল স্টেন্ডার্ড মার্কা, অসঙ্গতি থাকা মতবাদের উপর নিজের অন্ধ বিশ্বাস পোষন করা শুরু করেছে। তারা যেন চিন্তা করে না বা চিন্তা করার মত সেই ব্রেনই হাড়িয়ে ফেলেছে যে তারা যে পশ্চিমাদের মতগুলোকে মানছে তা কতটা যৌক্তিক মতবাদ! কতটা স্থীতিশীল, কতটা ন্যায়সঙ্গত, কতটা আকলসঙ্গত, কতটা এফেক্টিব। সবসময় সম্মতি সম্মতি করেন কিন্তু এসবে যেয়ে সম্মতি ফুস হয়ে যায়? কারন কি জানেন? কারন হল এইসব নীতি মানুষের বানানো তাই। ইসলামে বিধান আল্লাহর তরফ হতে এসেছে, মানুষের তরফ হতে না। আপনি বিয়ের বয়স দেখেন, বা হত্যা, চুর, ডাকাতির শাস্তি দেখেন বা যিনা, ধর্ষনের শাস্তি দেখেন বা আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, পোষাক-পরিচ্ছেদ যেটাই দেখেন সব ক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তি দেওয়ার মত বিধান রয়েছে। শালিনতা যেন ভঙ্গ না হয় সেই বিধান রয়েছে, ক্ষতি যেন না হয় সেই সিস্টেম রয়েছে, বিকৃত, অসুস্থ চিন্তা চেতনা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস যেন প্রশার না লাভ করে সেই ব্যবস্থা রয়েছে, সুষ্ঠ আইন রয়েছে, সুষ্ঠ বিচার রয়েছে। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, কোনটা মানবিক, কোনটা অমানবিক, কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ সেটার একটা ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। পাশ্চাত্যে নীতি, আইনকে যদি ভিত্তি হিসেবে মানেন তাহলে প্রতি বছর দেখা যাবে সেই ভিত্তিকে পরিবর্তন করা হচ্ছে, আর এই জাতীয় কোন বিষয় কখনো ভিত্তি হতে পারে না। যদি ভিত্তি মানুষকে বানান তাহলে হাজার মানুষের কাছে এসবের বিষয় হাজার রকম, এই জাতীয় কোন কিছুকেও ভিত্তি বানানো সম্ভব না। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের কাছে এসবেন ভিত্তি হল স্রষ্টার হুকুম-আহকাম, যিনি আমাদের স্রষ্টা তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন কোনটা ভালো-কোনটা খারাপ, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, কোনটা মানবিক ও কোনটা অমানবিক। পাশ্চাত্যের মতবাদগুলোর মধ্যে অসঙ্গতি সমূহ জানতে চাইলে শামসুল আরেফিন শক্তি, আসিফ আদনান ভাইদের বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি উপকার পাবেন। যাইহোক প্রশ্নকারীর প্রশ্নে ফিরি, স্বাধীন ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবক হল তাদের পিতা মাতা, আর দাস-দাসীদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবক হল তাদের মালিক। মালিকের ইখতিয়ার রয়েছে দাস-দাসীকে যিনা, ব্যবিচার, বা গুনাহের কাজ থেকে হেফাজতে রাখতে তাদেরকে বিয়ে দেওয়া, বরং এটা ইখতিয়ার বলার চাইতে দায়িত্ব বললে ভালো হবে। কারন কোরআনে আল্লাহ দাস-দাসীদেরকে বিয়ে দিতে বলেছেন [সূরা নূর আয়াত ৩২], বহু আলেমের মতে এটা ওয়াজিব, অনেকের মতে, সুন্নত, অনেকের মতে মুস্তাহাব। এছাড়া হাদিসে এসেছে আমরা আমাদের অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হব [বুখারি ৭১৩৮] সেহেতু তারা কোন পাপ কাজে জড়িয়ে পড়লে আমাকেও জবাবাদিহিতা করতে হবে যেহেতু তারা আমার দায়িত্বে রয়েছে। আরেকটা বিষয় ওলামাগণ শুধু দাসীর কথা বলেন নি, বরং দাস-দাসী উভয়ের কথাই বলেছেন। প্রশ্নকারী খালি দাসীর কথা কোথায় পেলেন আল্লাহ মালুম। নাকী শুধু দাসীদের প্রতিই প্রশ্নকারীর দরদ বেশি সেটাও আল্লাহই ভালো জানেন। আর আপনি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন ও আপনি যেমনটা বলেছেন ক্ষতিকর হলেও, ৩য় লিঙ্গের কারো সাথে হলেও, পাগলের সাথে হলেও মালিক জোর করে দাস-দাসীকে সেখানে বিয়ে দিতে পারবে এই কথা যদি আসলেই কেউ বলে থাকে তাহলে তার এই ফতুয়ার কোন মূল্য নেই। কারন কোরআনে আল্লাহ পাপ থেকে বাঁচার জন্য বিয়ে দিতে বলেছেন তাহলে ৩য় লিঙ্গের কারো সাথে বিয়ে দিলে কি এটা সম্ভব হবে? অবশ্যই না। এছাড়া ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, ৩য় লিঙ্গের কারো সাথে, পাগলের সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়া এই জাতীয় কাজ স্পষ্টতই জুমুলের নামান্তর। আর দাস-দাসীদের উপর জুলুম-নির্যাতন করা জায়েজ নেই। এছাড়া হাদিস মোতাবেক কারো ক্ষতির কারন হয় এমন কোন কাজও জায়েজ নেই। আর হাম্বলি মাযহাবতো আছেই সাথে শাফেয়ী মাযহাবের বহু ওলামার জোর-জবরদস্তি করার পক্ষে ছিলেন না। মালিকের জন্য দাস-দাসীকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তাদের সম্মতি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় সত্য, কিন্তু তার মানে এই না যে সে যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে বিয়ে দিতে পারবেন। যেহেতু কোরআন ও হাদিস থেকে এই বিষয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ নেই সেহেতু সবচেয়ে সঠিক মত হল মালিকের জন্য উচিৎ কোরআন ও সুন্নায় বলা বিয়ে সংস্ক্রান্ত হুকুম-আহকামগুলো মাধায় রেখে নিজের দাস-দাসীকে বিয়ে দেওয়া। দাস-দাসীর অসম্মতিতে জোর করে বিবাহ দিলেও বিবাহ বৈধ হবে, কারন বৈধ না হলে আপনার কথা অনুসারেতো তারা ব্যবিচারি হয়ে যাচ্ছে, তাই নয় কি? এছাড়া তারা চাইলে তালাক নিয়েও নিতে পারে, বিষয়টাতো আর এমন না যে স্বাধীন ও দাস-দাসীদের জন্য তালাকের পদ্ধতি আলাদা। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। (বেশি বড় করে ফেলেছি তােই দুঃখিত)
Elin replied 3 months ago

দাসীর অন্য কারোর সাথে বিয়ে দিতে তার সম্মতি নেওয়া লাগবে না মালিকরে এইতো? ধর্মের বিষয়ে লজ্জা আপনাদের এতো বেশী যে সোজা কথায় উত্তরও দিতে পারেন না৷ তো বাপ নিজে কী মদখোরের কাছে নিজের মেয়ের বিয়ে দেয় না?

‘Consent নিয়ে বিয়ের আগে সেক্স করলে অন্যায় হয় না?’ তো consent না নিয়ে করলে ন্যায় হবে? ন্যায়সঙ্গত হতে consentই থাকা লাগবে নাকি না জিজ্ঞেস করে হুমড়ে পড়বে, যেমনটা বৈধ নিজের স্ত্রীর সাথে করার ইসলামে। কুরান ২:২২৩।
দাসীদের ধর্ষণ বিয়ের আগে করতো না পরে করতো শিশুকামী নবী ও তার উম্মতেরা?

Your Answer

Accepted file types: txt, jpg, pdf

Add another file
Back to top button