আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি কে ধ্বংস করেছিল?

আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি কে ধ্বংস করেছিল?

আলেকজান্দ্রিয়ার গ্র্যান্ড লাইব্রেরিটি ইসলামী যুগের আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবুও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু লোক এই ধারণা ছড়িয়ে দেয় যে এটি খলিফা হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) নাকি তার নেতৃত্বে আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগার পুড়িয়েছেন। তাই ইসলামকে জ্ঞাণ বিকাশের বিরোধি হিসেবে উপস্থাপন করে ইসলাম বিরোধীরা। আসলেই কি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তার নেতৃত্বে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থগার পুড়িয়ে দিয়েছিলেন? ইতিহাস ঘেটে দেখা যাক।

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পর, মিশরের রাজত্ব আসে প্রথম টলেমির হাতে, যিনি গ্রীক দার্শনিক ডেমেট্রিয়াসকে এই বিশাল গ্রন্থাগার তৈরির দায়িত্ব দেন। আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রেট লাইব্রেরি প্রথম টলেমি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলেও সম্পূর্ণ ও প্রসারিত হয়েছিল দ্বিতীয় টলেমি দ্বারা। দ্বিতীয় টলেমি বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সমর্থণ করতেন এবং বই ভালোবাসতেন। তাই তার ভালোবাসার সাথে সমাঞ্জাস্য রেখে তিনি গ্রন্থাগারে বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় পাঁচ লক্ষ বই সংগ্রহ করেছিলো। এই লাইব্রেরিটিই ‘আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি’ নামে পরিচিত। [1]Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 7 (December-2016)

গ্রন্থাগারটি পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ে কমপক্ষে তিনটি গল্প রয়েছে। গল্প তিনটি নিম্নরূপ:

প্রথম, ৪৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজার [2]জুলিয়াস সিজার ১০০ খ্রিস্টাপূর্বাব্দে রোমে জন্মগ্রহণ করেন। ৫২ … Continue readingঅসাবধানতাবশত মাউসিয়ন লাইব্রেরির সমস্ত বা কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলে থাকতে পারে।

দ্বিতীয়, সম্রাট থিওডোসিয়াস[3]থিওডোসিয়াস ৩৭৯ থেকে ৩৯৫ সাল পর্যন্ত রোমান সম্রাট ছিলেন। প্রায় 390 খ্রিস্টাব্দে সেরাপিয়াম লাইব্রেরি পোড়ানোর জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন।

তৃতীয়, খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)[4]উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও প্রধান সাহাবীদের মধ্যে … Continue reading প্রায় 642 খ্রিস্টাব্দে একই গ্রন্থাগারটি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।[5]Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 8 (December-2016)

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুযায়ী গ্রন্থাগারটি প্রকৃতপক্ষে ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল — খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে। ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজার, ক্লিওপেট্রা এবং তার ভাই টলেমি-১৩ এর মধ্যে মিশরে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। জুলিয়াস সিজার ক্লিওপেট্রার পক্ষে ছিলেন এবং টলেমির বাহিনীর দ্বারা তারা স্থল ও সমুদ্র বন্দরে অবরোধ হয়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে শত্রু নৌবহরে আগুন লাগানোর একমাত্র সুযোগই তার জন্য রয়েছে এবং সেই কঠোর পরিমাপের (নৌবহরে আগুণ লাগানো) মাধ্যমেই তিনি শীর্ষস্থান অর্জন করতে পেরেছিলেন। গ্রীক জীবনীকার এবং লেখক, প্লুটার্ক আলেকজান্দ্রিয়ায় ব্যক্তিগত সফরের পরে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, “জুলিয়াস সিজারকে আগুণ ব্যাবহার করে বিপদ প্রতিহত করতে বাধ্য করা হয়েছিল, যা ডকইয়ার্ড (এমন জায়গা যেখানে জাহাজ তৈরি এবং মেরামত করা হয়) থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রেট লাইব্রেরি ধ্বংস করেছিল।”একইভাবে গ্রীক ভূগোলবিদ এবং ইতিহাসবিদ স্ট্রাবো, যিনি দীর্ঘকাল আলেকজান্দ্রিয়ায় থাকার সময় পরোক্ষভাবে সেই মহান গ্রন্থাগারটি হারানোর জন্য তার অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন।[6]Library of Alexandria – Ancient, Burning, Destruction | Britannica

ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির নিয়ার ইস্টার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের অধ্যাপক আসমা আফসারউদ্দিন লাইব্রেরির ধ্বংসের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন,

৪৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজার আলেকজান্দ্রিয়া অবরোধ করার সময় আলেকজান্দ্রিয়ান লাইব্রেরির প্রধান অংশটি আগুনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। ৩৯১ খ্রিস্টাব্দে সেরাপিয়ামের সহায়ক গ্রন্থাগারটি উদগ্রীব খ্রিস্টানদের দ্বারা বরখাস্ত করা হয়েছিল, সম্রাট থিওডোসিয়াসের একটি আদেশের পর।[7]Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 15 (December-2016)

বিশ্ব ইতিহাস বিশ্বকোষ এর তথ্য মতে, আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি ধ্বংসের প্রধান সন্দেহভাজন হলেন জুলিয়াস সিজার। অভিযোগ করা হয় যে ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিজারের আলেকজান্দ্রিয়া শহর দখলের সময় নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি মিশরীয় জাহাজে আগুন লাগিয়েছিলেন, কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তীরের নিকটবর্তী শহরের অংশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে গুদাম, ডিপো এবং কিছু অস্ত্রাগার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সিজারের মৃত্যুর পরে, এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয়েছিল যে তিনিই গ্রন্থাগারটি ধ্বংস করেছিলেন। রোমান দার্শনিক এবং নাট্যকার সেনেকা, ৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত ‘লিভি’স হিস্ট্রি অফ রোম’ থেকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে সিজারের দ্বারা শুরু হওয়া আগুনে ৪০,০০০ স্ক্রোল ধ্বংস হয়েছিল। গ্রীক ঐতিহাসিক প্লুটার্ক উল্লেখ করেছেন যে, আগুন ‘মহান গ্রন্থাগার’ ধ্বংস করেছে এবং রোমান ইতিহাসবিদ ডিও ক্যাসিয়াস আগুনের সময় পাণ্ডুলিপির একটি গুদাম ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।[8]What happened to the Great Library at Alexandria? – World History Encyclopedia

আসলেই কি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তার নেতৃত্বে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থগার পুড়িয়ে দিয়েছিলেন?

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নির্দেশ পেয়ে আমর ইবন আল-আস আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী ধ্বংস করার বিষয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা জানায়,

৬৪২ সালে আরব সেনাপতি আমর ইবন আল-আস মিশর জয় করেন এবং আলেকজান্দ্রিয়া দখল করেন। আরব, কপ্টস এবং বাইজেন্টাইন সহ বিভিন্ন পক্ষের ইতিহাসবিদরা প্রাথমিক আরব বিজয়ের ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করেছেন। বিজয়ের পর পাঁচ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, আরবদের অধীনে আলেকজান্দ্রিয়ান লাইব্রেরি সম্পর্কিত কোনো দুর্ঘটনার উল্লেখ ছিল না। হঠাৎ, ১৩ শতকের প্রথম দিকে ইবন আল-কিফতি এবং অন্যান্য আরব লেখকদের দ্বারা রিপোর্ট করা একটি বিবরণ দেখা যায় যাতে বর্ণনা করা হয়েছে যে কীভাবে আমর ইবন আল-আস আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগারের বই পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। গল্পটির একটি কাল্পনিক স্বাদ রয়েছে এবং বারবার সমালোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে ১৮ শতকের ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ এডওয়ার্ড গিবন দ্বারা, এবং এটি ১২ শতকে বানোয়াট বলে প্রমাণিত হয়েছে। [9]Library of Alexandria – Ancient, Burning, Destruction | Britannica

ইতিহাসবিদ ফিলিপ কে. হিট্টি ব্যাখ্যা করেছেন,

খলিফা উমার ইবলুন খাত্তাব (রাঃ) এর নির্দেশে আমর ইবন আল-আস আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী পুড়িয়েছেন, গল্পটি সেই গল্প গুলোর মধ্যে একটি যা কল্পকাহিনী হিসেবে খুব ভালো কিন্তু খারাপ ইতিহাস তৌরি করে। মহান টলেমাইক গ্রন্থাগারটি ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজার দ্বারা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তিতে কন্যা লাইব্রেরি হিসাবে উল্লেখ করা লাইব্রেরিটিও, সম্রাট থিওডোসিয়াসের একটি আদেশের ফলে প্রায় ৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই, আরব বিজয়ের সময় আলেকজান্দ্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কোনো গ্রন্থাগারের অস্তিত্ব ছিল না এবং আরব বিজয় এর সময়কার কোনো লেখক হযরত উমর সম্পর্কে অভিযোগ আনেননি।[10]Philip K. Hitti; History of the Arabs from the Earliest Times to the Present; Page; 166

ইসলামের আধুনিক সমালোচক বার্নার্ড লুইস এই বিষয়ে বলেন,

অনেক বইয়ে প্রচলিত একটি গল্প বলে যে আরবের পরে আলেকজান্দ্রিয়া দখল করার সময় খলিফা সেই শহরের বিশাল গ্রন্থাগার ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এই কারণে যে যদি বইগুলোতে কুরআনে যা থাকে তা ধারণ করে তবে তা অপ্রয়োজনীয়, আর যদি কুরআনে যা থাকে তা না থাকে তাহলে তা ধর্মবিরোধী। সমালোচনামূলক বৃত্তি গল্পটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দেখিয়েছে। প্রাচীন ইতিহাসের কোনোটিই, এমনকি খ্রিস্টানরদের লিখাতেও এই গল্পের কোনো উল্লেখ করেনি, যেটি প্রথম ত্রয়োদশ শতাব্দীতে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং যাই হোক না কেন, সেরাপিয়ামের সেই বিশাল গ্রন্থগারটি আরবদের আগমনের আগেই অভ্যন্তরীণ বিরোধে ধ্বংস হয়ে যায়।[11]BERNARD LEWIS; The Arabs in History; Page: 53

লুইস এই গল্পটিকে বানোয়াট বলে প্রমাণ করেছেন ঐতিহাসিক যুক্তি দিয়ে। তিনি উল্লেখ করেন,

আরব বিজয়ের কয়েক শতাব্দী পর পর্যন্ত মিশরে কাগজের প্রচলন ছিল না, এবং সেই সময়কার বইগুলির মধ্যে অনেকগুলি ভেলামে লেখা হত, যা আগুণে জ্বলে না। যাই হোক না কেন, মিশরে আরবদের আগমনের অনেক আগেই লাইব্রেরিটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল তার ভালো প্রমাণ রয়েছে। [12]Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 15 (December-2016)

বাট্রান্ড রাসেল বলেন,

আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ধ্বংস করেছিলেন, প্রত্যেক খ্রিষ্টানকে শিখানো হয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো, এই লাইব্রেরি বারবার ধ্বংস করা হয়েছে বারবার পুনরায় তৌরি করা হয়েছে। এটা প্রথম ধ্বংস করেছিলো সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং শেষবার যখন এটা ধ্বংস করা হয় সে সময়টা ছিলো নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মেরও আগে।[13]Bertrand Russell, human society in Ethics and politics

ডাঃ ডি.পি. সিংহল, একজন ভারতীয় ইতিহাসবিদও গল্পটিকে মিথ্যা বলে মনে করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন,

খলিফার কথিত বাক্যটি মুসলিম নেতাদের ঐতিহ্যগত অনুশাসনের জন্য বিজাতীয়, যারা স্পষ্টভাবে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের দখলকৃত ধর্মীয় গ্রন্থ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন যে অপবিত্র বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের কাজগুলি আইনত ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশ্বাসীর দ্বারা। [14]Who destroyed the Library at Alexandria? | Arab News

পাঠক, উপরের ব্যাখ্যাগুলি থেকে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নির্দেশে আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরিটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই গল্পটি প্রকৃত ঘটনা ঘটার কয়েক শতাব্দী পরে ইতিহাসবিদদের দ্বারা তৈরি একটি বানোয়াট ঘটনা। আর এই বানোয়াট গল্পকে পুঁজি করে ইসলাম বিরোধীরা বিভিন্ন সময় তাদের লিখনিতে ইসলামকে ছোট করার কুপ্রেচেষ্টা চালিয়েছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেয় বঙ্গীয় স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী ও মুক্তমণা সমাজও। যেমন, বঙ্গীয় মুক্তমণা সমাজের অন্ততম একজন হুমায়ুন আজাদ তার ‘মহাবিশ্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন,

৬৪০ খ্রিষ্টাব্দে মুসলমানরা আলেকজান্দ্রিয়া জয় করে; তাদেরও জ্ঞাণের আগ্রহ ছিল না; রাজ্য জয় আর ক্ষমতার উল্লাসে তারা পুড়িয়ে দেয় আলেকজান্দ্রিয়ার মহা-গ্রন্থাগার, নষ্ট হয়ে যায় অনেক মূল্যবান গ্রিক বই ও জ্ঞান। [15]হুমায়ুন আজাদ, মহাবিশ্ব; পৃ. ৩০

হুমায়ুন আজাদের এই দাবী যে মিথ্যা তার নজির অমুসলিমদের লিখাতেই ভুরিভুরি পাওয়া যায়। কিন্তু হুমায়ুন আজাদের মতো অসৎ লোকেরা সব সময় ওৎ পেতে থাকে কিভাবে ইসলামের বিপক্ষে কিছু লিখে ইসলামকে ছোট করা যায়। তাই প্রকৃত ঘটনা খোঁজার দরকার আছে বলে মনে করেননি তিনি, কোন এক ইসলাম বিদ্ধেষীর লিখায় বানোয়াট গল্পটি পেয়েছে আর যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিজের বইতে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

References

References
1 Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 7 (December-2016)
2 জুলিয়াস সিজার ১০০ খ্রিস্টাপূর্বাব্দে রোমে জন্মগ্রহণ করেন। ৫২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিজার মিশরে যান, সেখানে তিনি ক্লিওপেট্রার শাসন বজায় রাখতে নিজেকে জড়িত করেছিলেন।
3 থিওডোসিয়াস ৩৭৯ থেকে ৩৯৫ সাল পর্যন্ত রোমান সম্রাট ছিলেন।
4 উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও প্রধান সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম।
5 Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 8 (December-2016)
6, 9 Library of Alexandria – Ancient, Burning, Destruction | Britannica
7, 12 Muhammad Nabeel Musharraf; WHO BURNT THE GRAND LIBRARY OF ALEXANDRIA? AJHISR, Vol.2, Issue 2, Page; 15 (December-2016)
8 What happened to the Great Library at Alexandria? – World History Encyclopedia
10 Philip K. Hitti; History of the Arabs from the Earliest Times to the Present; Page; 166
11 BERNARD LEWIS; The Arabs in History; Page: 53
13 Bertrand Russell, human society in Ethics and politics
14 Who destroyed the Library at Alexandria? | Arab News
15 হুমায়ুন আজাদ, মহাবিশ্ব; পৃ. ৩০

Sazzatul Mowla Shanto

As-salamu alaykum. I'm Sazzatul mowla Shanto. Try to learn and write about theology and philosophy.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button