কফি আবিষ্কারের ইতিহাস

কফি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। বিশ্বে প্রতিদিন মানুষ দেড়শ কোটি কাপ কফি পান করে। আপনি চাইলে এ-পরিমাণ কফি দিয়ে প্রায় ৩০০ অলিম্পিক সাইজের সুইমিংপুল পূর্ণ করতে পারবেন। তেলের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য এটি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কফি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নাস্তার টেবিলে পানীয় হিসেবে এটির জুড়ি নেই। পরন্ত বিকেলে বাসার ছাদে কিংবা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে এক কাপ কফি হাতে প্রকৃতি উপভোগ না করে থাকলে আপনি হয়তো সংখ্যালঘুদের কাতারে পরে যাবেন। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ঠেকাতে সাহায্য করে। এটাতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। 

কফি আবিষ্কারের ইতিহাস

আপনি কি জানেন, কে সর্বপ্রথম কফি আবিষ্কার করেছিল ? প্রথম কফির আবিষ্কারক ছিলেন এক মুসলিম রাখাল

কপি আবিষ্কারের ইতিহাস জানতে চাইলে আপনি জানবেন ‘খালিদ’ নামক এক আরব ব্যক্তির কথা। ‘খালিদ’ নামের সে ব্যক্তি একবার নিজের ভেড়ার পালকে ঘাস খাওয়াতে দূরের কোনো এক মাঠে গিয়েছিল। সে সময় তিনি লক্ষ করলেন, একটি নির্দিষ্ট ফল খাওয়ার পর থেকে কিছুক্ষণ পর্যন্ত তার ভেড়াগুলো চাঙ্গা এবং প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। 

এই ফলগুলো সরাসরি খাওয়ার পরিবর্তে মানুষ গরম পানিতে ফুটিয়ে কফি তৌরি করে পান করতেন। তৎকালীন সময়ে যেটা ‘আল-কাহোয়া’ নামে পরিচিত ছিলো। ইয়েমেনের সুফিরা ঘুম দূর করার জন্য এই কফি পান করতো। ১৬৫০ সালে একজন  তুর্কি বণিক প্রথম ইংল্যান্ডে কফি নিয়ে আসে। 

ক্যাপুচিনো আবিষ্কার 

১৬৮৩ সালে মার্কো ডিয়াভিয়ানো তুর্কীদের সাথে যুদ্ধে করছিলেন ভিয়েনা রক্ষা করার জন্য। সে যুদ্ধে তুর্কিরা পরাজিত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের রেখে যাওয়া কফি থেকে ভিয়েনিজরা কফি পান করতো। সেই পরিত্যাক্ত কফি কফি প্রচুর পরিমাণ কড়া হওয়ার কারণে তারা কফির সাথে ক্রিম এবং মধু মিশিয়ে পান করতো। এতে করে কফির রং বাদামি হয়ে যেত,যেটা ক্যাপুচিনোদের পোশকের রঙের সাথে মিলে যেত। যার ফলে ভিয়েনিজরা মার্কো ডিয়াভিয়ানোর সম্মানে এটির নাম রাখে ‘ক্যাপুচিনো’ 

তথ্য সূত্রঃ 1001 inventions: the enduring legacy of Muslim civilization

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে যে কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধ করে। এতে থাকা অধিক পরিমানে ক্যাফেইন নিম্ন রক্তচাপ জাতীয় সমস্যার জন্যে উপকারী। এছাড়া কফি পানে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া অত্যাধিক কফি পানে ঘুমের ব্যাঘাত ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে বাধাগ্রস্ত হয়।

কফির ছবি

জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিম সভ্যতার অবদান – Faith and Theology (faith-and-theology.com)

Sazzatul Mowla Shanto

As-salamu alaykum. I'm Sazzatul mowla Shanto. Try to learn and write about theology and philosophy.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button